অপরাজিত: নাটকের মঞ্চে ওরাই কুশীলব। নানা রঙের সাজে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত খুদেরা। মোহরকুঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
মঞ্চে ওদের অভিনয় দেখে কে বুঝবে, লুকনো আছে কত বড় রোগ? পশু-পাখি সেজে দিব্যি ওরাই শিখিয়ে দিল, জীবনযুদ্ধে কখনও হার মানতে নেই।
ওরা, মানে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত কচিকাঁচারা। সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওদের দেখা গেল রোগের কষ্ট ভুলে, মোহরকুঞ্জের মঞ্চে দাপিয়ে নাটক করতে। তার আগেই কেউ হাসপাতাল থেকে রক্ত নিয়ে এসেছে, কেউ বা সদ্য জেনেছে দেহে কী রোগ বাসা বেঁধেছে। তবু
উৎসাহে ভাটা পড়েনি। রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থাকলেও, তা প্রতিবন্ধকতার দেওয়াল গড়তে পারেনি। বরং মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই রোগ নিয়ে প্রচারও করল ওরা। জানাল, সামান্য সচেতনতায় কী ভাবে এড়ানো যায় থ্যালাসেমিয়া। তাই সেই মঞ্চেই চলল বিয়ের আগে রক্তপরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা সরকারি নিয়ম হওয়া উচিত কি না, সে নিয়ে বিতর্কসভাও। বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিতর্কসভায় অংশগ্রহণ করলেন। আলোচনায় উঠে এল, এ দেশে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতার অভাব কতটা গভীরে।
নাটকের দলের সদস্যদের কেউ পাঁচ বছরের খুদে, কেউ আবার স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী। ওদের পাশে আছেন হেমাটোলজিস্ট চিকিৎসক প্রান্তর চক্রবর্তী। প্রান্তরবাবু বলেন, ‘‘ওদের অনেকেরই রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পাঁচেরও কম। কিন্তু ওদের দেখে সে সব কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আসলে রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়াটা খুব দরকার।’’