—প্রতীকী ছবি।
গত বছর আমপানের তাণ্ডবে বিকল হয়ে গিয়েছিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের হাজারখানেক সিসি ক্যামেরা। পরে বেশির ভাগ ক্যামেরা সারানো হলেও অনেকগুলি এখনও বিকল। আজ, বুধবার ফের একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে শহরে। সঙ্গে হতে পারে ভারী বৃষ্টিও। সেই কারণে শহরের কিছু জায়গায় ঝড়ের আগে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে রাস্তার সিসি ক্যামেরা। লালবাজার জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি ট্র্যাফিক সিগন্যালের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে ওই সময়ে। যাতে ঝড়ের অভিঘাতে সিগন্যালের স্তম্ভ উপড়ে পড়লে তা থেকে কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হন।
তবে সবটাই পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করবে বলে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান। তাঁর কথায়, ‘‘সব এলাকার সিসি ক্যামেরা বা সিগন্যাল বন্ধ করা হবে না। সিসি ক্যামেরার দেখভালের দায়িত্বে যে সংস্থা রয়েছে, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’’ পুলিশের বক্তব্য, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের ঝড়ের সময়ে রাস্তায় থাকতে বারণ করা হয়েছে। ফলে, ওই সময়ে রাস্তায় নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরাই ভরসা। তাই সব জায়গায় ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হবে না।
গত বছর আমপানের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল অনেকগুলি সিসি ক্যামেরা। কিছু জায়গায় আবার ওই ক্যামেরা লাগানো ছিল সিগন্যালের স্তম্ভে। সেই স্তম্ভ উপড়ে পড়ায় ভেঙে যায় ক্যামেরাও। বহু জায়গায় আবার গাছ পড়ে ভেঙে গিয়েছিল ক্যামেরা। লালবাজার সূত্রের খবর, ক্যামেরার মেরামতিতে বহু সময় এবং অর্থ খরচ হয়েছে। তবু শহরের সর্বত্র এখনও সিসি ক্যামেরা নেই। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বার প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ক্যামেরা খুলে রাখা হবে। কিন্তু সেটি সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। তা ছাড়া, কমিশনার চান, ঝড়-পরবর্তী পরিস্থিতি সিসিটিভি-তে দেখতে। তাই কিছু ক্যামেরা চালু রাখা হবে।
ঝড়ে গার্ডরেল উড়ে গিয়ে যাতে কোনও রকম বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডকে সতর্ক করেছিল লালবাজার। সেই মতো ট্র্যাফিক গার্ডগুলি নিজেদের এলাকার সমস্ত গার্ডরেল এক জায়গায় এনে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেছে। কোথাও আবার ভারী কিছুর সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে গার্ডরেল।
লালবাজার সূত্রের খবর, ঝড়ের সময়ে রাস্তায় নাকা-তল্লাশি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ওই সময়ে পুলিশকর্মীরা কেউ যাতে কোনও মতেই রাস্তায় না থাকেন, তার জন্য বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।