আকাশছোঁয়া: তেড়ে আসছে ‘ফণী’। তাই জওহরলাল নেহরু রোডের এই বাষট্টিতলা বহুতল চিন্তায় ফেলেছে পুরসভাকে। নিজস্ব চিত্র
‘ফণী’ সামলাতে কতটা তৈরি এ শহরের বিভিন্ন বহুতল?
বৃহস্পতিবার দিনভর এ নিয়েই আলোচনা হয় পুরসভায়। তাতে বারবার উঠে এল জওহরলাল নেহরু রোডের একটি নির্মীয়মাণ ৬২তলা বাড়ি-সহ শহরের একাধিক বহুতলের প্রসঙ্গ। জওহরলাল নেহরু রোডে শহরের উচ্চতম ওই বাড়ির উপরের অংশে কাজ চলছে। ঝড়ের দাপটে সেখান থেকে কিছু উড়ে এলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশ ও প্রশাসনের। তাই এ দিন ‘ফণী’ নিয়ে পুরসভায় ডাকা বৈঠকে নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ‘ক্রেডাই’-কে সতর্ক করা হয়েছে।
পুরসভার বিল্ডিং দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, ৪২ নম্বর জওহরলাল নেহরু রোডের বহুতলটি এখনও ‘কমপ্লিশন সার্টিফিকেট’ (সিসি) নেয়নি। সেখানে কাজ এখনও বাকি। তবে শুধু ওই বহুতলই নয়, ‘ফণী’র কথা ভেবে ইতিমধ্যেই শহরের উঁচু ও নির্মীয়মাণ বাড়িগুলির ক্ষেত্রে আগাম কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তা নিয়ে নির্দেশাবলী তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী দু’-তিন দিন কোথাও নির্মাণকাজ করা যাবে না। নির্মাণস্থলে আলগা মালপত্র ছড়িয়ে থাকলে সরিয়ে ফেলতে হবে। ভারা বাঁধার বাঁশ ঠিক ভাবে রাখতে হবে, যাতে সেগুলি উড়ে গিয়ে বিপদ না ঘটায়। নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে বালি, পাথর বা সিমেন্ট রাখা যাবে না। পুরসভার ওই অফিসার জানান, অনেক জায়গায় নির্মাণস্থলে ক্রেন ব্যবহার করা হয়, যা ছাদে রাখা থাকে। ছাদে এমন কিছু রাখতে বারণ করা হয়েছে। অস্থায়ী কাঠামোগুলি আপাতত খুলে ফেলতে বলা হয়েছে।
পুরসভার বিল্ডিং দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, এই নির্দেশাবলী ক্রেডাইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তা দ্রুত কার্যকর করতে বলা হয়েছে। ক্রেডাইয়ের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হর্ষ পাটোডিয়া এ দিন বলেন, ‘‘পুরসভার নির্দেশ মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রতিটি নির্মীয়মাণ বহুতলের প্রোমোটারদের সতর্ক করছি।’’