চা-পাতার আড়ালে আসা প্রায় ৮০ কিলোগ্রাম ‘খাট’ উদ্ধার করেন কলকাতার ফরেন পোস্ট অফিসের শুল্ক কর্তারা। ছবি: সংগৃহীত।
চা-পাতার আড়ালে চলছিল মাদকের কারবার। সেই কারবারেরই পর্দা ফাঁস করল কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর। চা-পাতার আড়ালে আসা প্রায় ৮০ কিলোগ্রাম ‘খাট’ উদ্ধার করেন কলকাতার ফরেন পোস্ট অফিসের শুল্ক কর্তারা।
খাট এক ধরণের গুল্ম যা ইথিওপিয়া, সোমালিয়া-সহ আরব উপদ্বীপের বিস্তৃর্ণ অংশে জন্মায়। উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ওই খাটের পাতা খাওয়া হয় নেশার জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওই পাতাকে মাদক হিসাবে চিহ্নিত করেছে। কারণ ওই পাতা খেলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।
সেই খাট পাতাই কলকাতায় আসছিল চায়ের আড়ালে। সোমবার ফরেন পোস্ট অফিসে মোতায়েন শুল্ক কর্তাদের হাতে চারটি পিচ বোর্ডের বাক্স আসে। আপাত ভাবে সেই বাক্সে লেখা ছিল বাক্সে রয়েছে চা পাতা। লাগেজ স্ক্যানারেও শুল্ক গোয়েন্দারা পাতারই হদিশ পান। কিন্তু পাতার চেহারা দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় ফের আগুন আতঙ্ক, দমদম স্টেশনে ধোঁয়ায় ভরে গেল নন এসি কামরা
এই পিচ বোর্ডের বাক্সে ৮০ কিলোগ্রাম খাট পাতা রাখা ছিল। —নিজস্ব চিত্র।
বাক্স খুলতেই দেখা যায় সেখানে চা পাতা নেই। রয়েছে অন্য কোনও পাতা। ইথিওপিয়ার রাজধানীআদিস আবাবা থেকে আসা বাক্সের পাতা তাঁরা বিশেষজ্ঞদের দেখাতেই তাঁরা ওই পাতা খাট-এর বলে শনাক্ত করেন। শুল্ক গোয়েন্দারা বলেন, হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা সঞ্জয় দাসের ঠিকানা দেওয়া ছিল প্রাপক হিসাবে। তবে ওই ঠিকানা ভুয়ো বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা প্রাপকের হদিশ করার চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার শুল্ক কর্তারা বাজেয়াপ্ত ৮০ কিলোগ্রাম খাট পাতা নগর দায়রা আদালতে পেশ করেন। শুল্ক দফতরের আইনজীবী স্বপন চক্রবর্তী বলেন,“আমরা আদালতে এ দিন বাজেয়াপ্ত পাতা পেশ করে মামলা শুরু করেছি। আদালতকে জানিয়ে আমরা প্রেরক এবং ওই চক্রে কারা রয়েছে সেই খোঁজ চালাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: তথ্য ছাড়াই প্রমাণের চেষ্টা, খুনের মামলায় সাম্বিয়াকে অব্যহতি দিয়ে পুলিশকে তুলোধোনা বিচারকের
নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দাদের দাবি, কলকাতায় খাট পাতা খেয়ে নেশার উদাহরণ তাঁরা আগে কখনও পাননি। ওই প্রবণতা সম্পূর্ণ নতুন। কারা ওই নেশার কবলে পড়েছেন তা-ও খোঁজ নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)