উৎসাহী: করোনা পরিস্থিতিতেও ইকো পার্কে ঢোকার জন্য দীর্ঘ লাইন। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
বড়দিন ও বর্ষশেষকে ছাপিয়ে গেল ২০২১-এর প্রথম দিনের ভিড়। ইকো পার্কে সকালের দিকে অবশ্য এমনটা আশা করা যায়নি। বেলা গড়াতে পাল্লা দিয়ে ভিড় বেড়েছে। প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও মাস্ক না পরা ও দূরত্ব না রাখার ছবিও দেখা গিয়েছে।
হিডকো সূত্রের খবর, ৩১ ডিসেম্বর মাত্র ২২,২০০ জন এসেছিলেন ইকো পার্কে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। বড়দিনে এসেছিলেন প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ। কিন্তু এ দিন সেই পরিসংখ্যান ছাপিয়ে রেকর্ড ভিড় হয়েছে বলেই দাবি ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষের। তাঁরা জানান, ৮৯ হাজারেরও বেশি মানুষ এ দিন এসেছিলেন সেখানে।
পুলিশ এবং হিডকো-র কর্মীরা লাগাতার মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করেন। মুখে মাস্ক না দেখলে মাস্কও বিতরণ করা হয়। কিন্তু তাতেও একাংশের হুঁশ ফেরেনি। করোনা-বিধি উড়িয়ে একদল মানুষ ছিলেন পিকনিকের মেজাজে। জিজ্ঞাসা করলে মিলেছে হাজারো যুক্তি।
তবে শুধু এ দিনের ভিড়েই নয়, বর্ষশেষের রাতে পর্যটক এবং স্থানীয়দের একাংশ বিধি না মেনে যে ভাবে উৎসবে মেতেছেন, যে ভাবে মাস্ক না পরে, দূরত্ব বজায় না রেখে চলাফেরা করেছেন, তাতে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসন লাগাতার চেষ্টা করলেও একদল কোনও কিছুই মানছেন না। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ না করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
শুক্রবারও সন্ধ্যা থেকে লেক টাউনের সার্ভিস রোডে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। তার জেরে ভিআইপি রোডে যানজট দেখা যায়।
পর্যটক এবং স্থানীয়দের একাংশকে বিধি পালন করাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। উপরন্তু একদলের উচ্ছৃঙ্খল আচরণেও বিরক্ত স্থানীয়েরা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে এমন আচরণ করছিলেন, যা সহ্যের সীমা অতিক্রম করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে লেক টাউন থানার পুলিশ। পাশাপাশি বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, প্রয়োজনীয় সব রকমের নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।