প্রতীকী ছবি।
ভোটের আগে সিপিএম কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার গভীর রাতে কসবায় ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সকালে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ।
গত বিধানসভা ভোটে কসবা কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানো সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষের অবশ্য দাবি, ‘‘তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একদল দুষ্কৃতী এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া।’’ এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তকুমার ঘোষ বলছেন, ‘‘এলাকার কিছু দুষ্কৃতী মত্ত অবস্থায় এই হামলা চালিয়েছে বলে জেনেছি। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ওরা কেউই তৃণমূলের লোক নয়।’’
কসবা রাজডাঙা এলাকায় ওই সিপিএম কার্যালয়টি অবস্থিত। স্থানীয় সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ২-৩০—৩টে নাগাদ একদল দুষ্কৃতী তাঁদের কার্যালয়ে চড়াও হয়। চারটি জানলার পাশাপাশি শহিদ বেদীতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। কার্যালয় লক্ষ করে ইটও ছোড়া হয়। তবে কোল্যাপসিব্ল গেট থাকায় দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকতে পারেনি। রাতে সিপিএম কার্যালয়ের পাশের একটি বাড়িতেও দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সিপিএম নেতা রমেন সরকার বলেন, ‘‘যারা এসেছিল, সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিল। আগেও এই কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে এই ধরনের হামলা আটকানো যাবে না।’’
কসবা থানা সূত্রের খবর, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বুধবার রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।