জখম সিপিএম সমর্থক।—নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার ভোট মিটতেই খাস রাজধানীতেও এ বার শুরু হয়ে গেল ভোট পরবর্তী হিংসার পর্ব। রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে কসবা, বাঘাযতীন, পেয়ারাবাগান গাঙ্গুলিবাগান— বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াল বহিরগতদের দল। হাতে লাঠিসোটা, ইট নিয়ে তারা ভাঙচুর করে বিরোধীদের একের পর এক দলীয় কার্যালয়। ভাঙচুর করা হয় এলাকায় বিরোধী সমর্থক হিসেবে পরিচিত বেশ কিছু লোকজনের বাড়িতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নির্বাচনের পর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া হবে। এই আক্রমণ তারই প্রতিফলন বলে মনে করছে বিরোধীরা।
তবে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মেনে নেননি দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই হামলা চালিয়েছে।’’
পাটুলির বাঘাযতীনে আক্রান্ত হয়েছেন সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্ট। ভাঙচুর করা হয় প্রায় ৮-১০টি বাড়ি। অন্য দিকে, কসবার বৈকুন্ঠ ঘোষ রোডে আক্রান্ত হন পাঁচ জন সিপিএম সমর্থক। সিপিএম সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টা নাগাদ ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে পাটুলি বাঘাযতীনের সি ব্লকে ফুলবাগান মেলার মাঠ এবং জি ব্লকে আমরা ক’জন ক্লাবের সামনে জড়ো হয় বেশ কিছু বহিরাগত। তার পর নির্বিচারে এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু তারা। বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর নির্বাচনী এজেন্ট সুজন দত্ত। প্রথমে পুলিশ দর্শকের ভূমিকা নিলেও পরে একটু সক্রিয় হতেই তাদেরকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ।
কসবার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের বৈকুন্ঠ ঘোষ রোডেও আক্রমণ চালানো হয়। সিপিএমের দাবি, সন্ধ্যাবেলা ওই এলাকায় বসেছিলেন তাঁদের পাঁচ সমর্থক। আচমকাই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চ়়ড়াও হয়। তাঁদের মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, পাঁচ জনকেই ভর্তি করা হয় বাঙুর হাসপাতালে।