পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণের জেরে ত্রস্ত নিচুতলার পুলিশকর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। শনিবার তিনি বাহিনীর বাকি শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে মধ্য, উত্তর ও পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন এলাকা এবং থানা পরিদর্শন করেন। কনস্টেবল, হোমগার্ডদের সঙ্গে কথাও বলেন। করোনা ঠেকাতে মাস্ক কিংবা গ্লাভসের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস তাঁরা ব্যবহার করছেন কি না, জানতে চেয়েছেন কমিশনার। এ ছাড়াও বিভিন্ন থানার সাব ইনস্পেক্টরদের সঙ্গে কথা বলেন সিপি। সূত্রের দাবি, সিপি বাহিনীর সদস্যদের বলেছেন, ‘‘ভয় পাবেন না। আপনারা ভাল কাজ করছেন। আমরা সবাই পাশে আছি।’’ পরে তিনি বলেন, ‘‘ট্যাংরা, তপসিয়া, তিলজলা, বেনিয়াপুকুর, তালতলার মতো জায়গায় কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘুরে দেখেছি লকডাউন ঠিকঠাক হচ্ছে কি না। বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ভাল কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেছি।’’
লালবাজার সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তিনটি থানার আধিকারিক-সহ বাহিনীর ১৩ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডে। লকডাউনের সময়ে শহরে সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের ভরসা পুলিশই। এই পরিস্থিতিতে বাহিনীর মনোবলে যাতে চিড় না ধরে, তাই কমিশনার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সাহস জুগিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের একটি অংশের।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কমিশনার সোজা পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে যান। বেনিয়াপুকুর থানার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, পিকনিক গার্ডেন, তিলজলা হয়ে ই এম বাইপাসে যান তিনি। সায়েন্স সিটির কাছে, প্রগতি ময়দান থানার বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলেন পুলিশকর্মীদের সঙ্গে। ওই থানার এক আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভিতরে না ঢুকলেও কমিশনার থানার কনস্টেবল এবং অফিসারদের খোঁজ নেন। সুরক্ষিত থাকার জন্য পুলিশকর্মীদের সব নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন। এর পরে ট্যাংরার বৈশালী মোড় ঘুরে তালতলা থানায় যান সিপি। ওই থানা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর। সেখানেও থানার বাইরে দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্কুলের পোশাকের কারখানায় পিপিই বানিয়ে পাশে দর্জি
এক পুলিশকর্তা জানান, বৌবাজার এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার সামনে প্রায় মিনিট দশেক ছিলেন কমিশনার। সেখানেও তিনি বাহিনীর পাশে থাকার বার্তা দেন। এর পরে জোড়াবাগান এলাকায় গিয়ে থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টেবলদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন। সেখানের চার জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া মিলছে না জ্বরের ওষুধও, ভোগান্তি হাওড়ায়
লালবাজারের দাবি, বাহিনীর মনোবল যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, মূলত তা নিশ্চিত করার জন্যই শীর্ষ কর্তারা এক দিনে এতগুলি থানায় গিয়েছেন। বাহিনীর সকলকে বলা হয়েছে, কেউ অসুস্থ হলে তা দ্রুত ইউনিট প্রধানকে জানাতে হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)