জেলে বসেই গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হত অনুব্রতের! দাবি করল সিবিআই

কলকাতা হাই কোর্ট জানতে চায়, এ সংক্রান্ত কোনও কল রেকর্ড সিবিআই দিতে পারবে কি না। ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হলেও ফোনের আইএমইআই নম্বর বা কোন এলাকা থেকে কথা হয়েছে, সেটা জানাই যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৩
Share:

এনামুল ও অনুব্রতের ফোনাফুনি হত জেল থেকেও! দাবি করল সিবিআই। প্রমাণ আছে কি না, জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

জেলে বসেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ধৃত অনুব্রতের (কেষ্ট) জামিনের বিরোধিতা করে এমনই দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)।

Advertisement

গত বছরের অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় যোগের অভিযোগে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ওই একই মামলায় অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সিবিআইয়ের গ্রেফতারি থেকে জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। আবার প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে এনে সিবিআই কেষ্টকে ‘এলাকার রাজনৈতিক দৈত্য’ বলেও মন্তব্য করে। অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল যখন যুক্তি দেন, একই মামলায় সতীশ কুমাররা জামিন পেয়েছেন। তখন অনুব্রত কেন ১৪৫ দিন জেলে কাটাবেন? এই সওয়ালের মধ্যে আদালতে সিবিআই দাবি করে গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে প্রায়শই ফোনে কথা হত অনুব্রতের। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিংহ আদালতে দাবি করেন, আসানসোল জেলে থাকার সময়ও অনুব্রত এনামুলের সঙ্গে কথা বলেছেন।

সিবিআইয়ের এই দাবির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচারপতি বাগচীর প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা (সিবিআই) ফোনের বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন? কোনও কল রেকর্ড রয়েছে?’’ যার উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবীর উত্তর, ‘‘ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হয়েছে ওঁদের। তাই তাই কল রেকর্ড পাওয়া যায়নি।’’ পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি বাগচী। তিনি জানান, ফেস টাইমের মাধ্যমে কথা হলেও ফোনের আইএমইআই নম্বর বা কোন এলাকা থেকে কথা হয়েছে, সেটা তো জানা যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন এক মাসের মধ্যেও সেটা বের করতে পারেনি সিবিআই?’’

Advertisement

সিবিআই অবশ্য দাবি করেছে, এ নিয়ে তারা তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে কয়েক জন সাক্ষীর বয়ান থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বিশদে তদন্ত চলছে।

মঙ্গলবার দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাবের পর আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৪ জানুয়ারি, বুধবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement