বায়ুর দূষণ আটকাতে দিল্লি সক্রিয় হলে, কলকাতা কেন পারবে না?
মঙ্গলবার কলকাতার বায়ুদূষণ নিয়ে মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলল কলকাতার জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াঙ্গড়ি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতার বায়ুদূষণ রুখতে কী কী করা হয়েছে রাজ্যের পরিবেশ সচিব এবং পরিবহণ সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত। এ দিন সেই রিপোর্টকে ‘অসম্পূর্ণ’ বলে গ্রহণ করেনি পরিবেশ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট চাইলেও কার্যত ‘বাজেট পেপার’ দেওয়া হয়েছিল। এ ধরনের কাজ চলতে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আদালত।
এই মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত এ দিন আদালতে জানান, কলকাতার ৪৬ শতাংশ মানুষ বায়ু দূষণের কারণে নানা সমস্যায় ভুগছেন। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, দূষণের বিপদ দেখে দিল্লির শাসকদের টনক নড়েছে কিন্তু এখানে তেমন কিছু দেখা যায়নি।
আদালত এ দিন জানিয়েছে, কলকাতার সব ক’টি দূষণের উৎসের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে দুই সচিবকে রিপোর্ট দিতে হবে। এ দিন এজলাসে হাজির ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কৌঁসুলি অর্পিতা চৌধুরী। তাঁকে আদালত জানিয়েছে, প্রত্যেকটি দূষণের উৎস নিয়ে পর্ষদকেও রিপোর্ট দিতে হবে।