দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুরে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কলকাতার বাঘা যতীনের বাসিন্দা এক দম্পতির। আহত হয়েছেন তাঁদের মেয়ে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ গলসির শশঙ্কার কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে একটি মাল বোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয় সুমন্ত পাল (৫৭) ও তাঁর স্ত্রী মণিদীপাকে (৫১)। তাঁদের মেয়ে অবন্তিকাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরও অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ময়না-তদন্তের পরে সুমন্তবাবু ও তাঁর স্ত্রীর দেহ আত্মীয়দের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিদীপাদেবীর মা-বাবা থাকেন দুর্গাপুর সিটি সেন্টার লাগোয়া এলাকায়। তাঁর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে। রবিবার সপরিবার দুর্গাপুরে এসেছিলেন মণিদীপাদেবী। এ দিন ভোরে তাঁরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার সুমন্তবাবু।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শেখ ইনামুল ও আশিস রায় বলেন, ‘‘গাড়িটা দ্রুত গতিতে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। সামনেই ছিল মাল বোঝাই একটি ট্রাক। আচমকা গাড়িটা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় দুমড়ে যায় গাড়িটা।’’ পুলিশকে ফোনে দুর্ঘটনার কথা জানান ইনামুল। পুলিশ আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সুমন্তবাবুর এক আত্মীয়া শ্রেয়সী দত্ত বলেন, ‘‘পুলিশের থেকে ফোনে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি! পরে আবার পুলিশকে ফোন করে নিশ্চিত হই।’’ ট্রাকচালকের খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুমান, গাড়ি চালানোর সময়ে সম্ভবত তন্দ্রা এসেছিল সুমন্তবাবুর। তার জেরেই ওই দুর্ঘটনা।