আহত: চিন্ময় বারুই। —নিজস্ব চিত্র
শাসকদলের কাউন্সিলরকে বাড়িতে ডেকে মাথায় চপার দিয়ে কোপ মেরে জখম করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে পূজালি পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের রাজীব ঘাট এলাকায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। জেরা করা হচ্ছে অন্য দু’জনকে। ধৃত ব্যক্তির নাম অজিন্দ্র দাস। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বাড়িতেই ছিলেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিন্ময় বারুই। অতীন্দ্র দাস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা তাঁর বাড়িতে এসে চিন্ময়কে জানান, ভাই অজিন্দ্র খুবই অসুস্থ। কিন্তু টাকার অভাবে ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি। কী ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়ে ভাবছেন বলে ওই ব্যক্তিকে জানান কাউন্সিলর। এর কিছু সময় পরে চিন্ময় নিজেই স্কুটার নিয়ে অতীন্দ্রের সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে চলে যান। অসুস্থ অজিন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর চিকিৎসার প্রেসক্রিপশনও দেখেন। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে অতীন্দ্রকে নিয়ে বাইরে আসেন কাউন্সিলর। এমন সময়েই আচমকা পিছন থেকে অজিন্দ্র চপার দিয়ে চিন্ময়ের মাথায় কোপ মারেন। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চিন্ময়। আশপাশের লোক ছুটে এলে গুরুতর জখম চিন্ময়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় ১৯টি সেলাই পড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, অজিন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ভাইয়ের অসুস্থতা আসলে অজুহাত ছিল। চিন্ময়কে খুন করার জন্যই ছক কষে এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। অতীন্দ্র-সহ আরও এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত পূজালির গত পুর নির্বাচনে চিন্ময় বিজেপি প্রার্থী হয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস বলেন, “চিন্ময় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এ দিনের ঘটনা।”
যদিও পূজালি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফজলু্র হক বলছেন, “অজিন্দ্র এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন। কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে চিন্ময়কে খুনের চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”