আগ্রহ: কামানে চোখ রেখেছে খুদেরা। শুক্রবার, কাশীপুরে। নিজস্ব চিত্র
কেমন দেখতে ছিল পলাশির যুদ্ধের কামান? কার্গিল যুদ্ধে ব্যবহৃত কামানই বা কেমন ছিল? বিভিন্ন যুগের সমরাস্ত্র এ বার হাতে ছুঁয়ে দেখতে পারবে আমজনতা। জানতে পারবে সেই সংক্রান্ত গল্পও। সৌজন্যে, কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল কারখানা। শুক্রবার ওই কারখানার নতুন সংগ্রহশালার উদ্বোধন করলেন সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার রাজীব চক্রবর্তী। তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও নাগরিকদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করবে এই সংগ্রহশালা। স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা এসে ইতিহাস ঘাঁটতে পারবে। গবেষকেরাও প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। তুলে ধরা হচ্ছে স্থানীয় ইতিহাসও। কী ভাবে গঙ্গাতীরে এই এলাকা গড়ে উঠল, তা-ও নথি ও খণ্ডচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
রাজীববাবু জানান, ওই সংগ্রহশালায় পলাশির যুদ্ধ ও রঞ্জিত সিংহের ঐতিহাসিক কামান রয়েছে। রয়েছে ব্রি়টিশ সাম্রাজ্যের বীজমন্ত্র লেখা একটি গেটও। স্বাধীনতার পরবর্তী কালে যে সব কামান, বন্দুক তৈরি হয়েছে, থাকবে সেগুলিও। আপাতত কার্গিল যুদ্ধে ব্যবহৃত একটি ‘আরসিএল গান’ রয়েছে।
কারখানা সূত্রের খবর, মাস আটেক আগে এই সংগ্রহশালা তৈরির পরিকল্পনা হয়। ওই জমিতে একটি দোতলা বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেটিকে সারিয়ে তোলা হয়। দিল্লির জাতীয় মহাফেজখানা-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নথিপত্র জোগ়াড় করে আনেন কারখানার অফিসার-কর্মীরা।