প্রতীকী ছবি।
করোনায় ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার একাধিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ বার এক পুরকর্মীর মৃত্যু হল ডেঙ্গিতে। পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি মরসুমে এই প্রথম কোনও পুরকর্মী মারা গেলেন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে। পুরসভা সূত্রের খবর, জঞ্জাল অপসারণ দফতরের ১৬ নম্বর বরোর অন্তর্ভুক্ত সংযোজিত এলাকার দায়িত্বে ছিলেন রাহিদ জামান নামে বছর আটাশের ওই কর্মী। বুধবার সকালে বাইপাসের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।তবে পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গিতে তাঁদের এক কর্মীর মারা যাওয়ার খবর এসেছে ঠিকই, কিন্তু এখনও তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র তাঁরা দেখেননি।
যদিও কলকাতা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা জঞ্জাল অপসারণ দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, “জঞ্জাল অপসারণ দফতরের ১৬ নম্বর বরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত রাহিদ ডেঙ্গিতেই মারা গিয়েছেন।” তিনি জানান, তাঁর আদত বাড়ি মালদহে। চাকরির সূত্রে রাহাদ উত্তর কলকাতায় থাকতেন। কয়েক দিন ধরেই তাঁর জ্বর ছিল। দিন দুয়েক আগে তাঁকে বাইপাসের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর অন্য সদস্য, তথা স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ অবশ্য বলছেন, “ওই কর্মীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে কি না জানি না। সেটা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”করোনার সঙ্গে সঙ্গে একইভাবে ডেঙ্গি প্রতিরোধেও পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর মশা দমনের অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে যে বরোগুলিতে গত বার ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল, সেখানেই মূলত নজরদারি চলছে বলে জানানো হয়েছে। লার্ভা মারা ছাড়াও সচেতনতার অভিযান চালানো হচ্ছে।
যদিও পুর স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই কর্মীর যদি সত্যিই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়ে থাকে, তবে তিনি কোথায় ছিলেন এবং তাঁর জ্বর কত দিন ধরে ছিল― এই সব তথ্য জানাও জরুরি।