প্রতীকী ছবি
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীতে প্রাধান্য পেতে পারেন বিদায়ী বোর্ডের মেয়র পারিষদেরা। থাকতে পারেন মেয়র নিজেও। সরকারি কোনও অফিসারকে প্রশাসক হিসেবে না-ও রাখা হতে পারে। সোমবার পুরসভা সূত্রে তেমনই আভাস মিলেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুর আইন, ১৯৮০-র ৬৩৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্য সরকার নিজেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। সেই আইনের বলেই সরকার প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করতে চলেছে বলে খবর।
আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পুর নির্বাচন করার তোড়জোড় শুরু হলেও দেশ জুড়ে করোনা-পরিস্থিতির কারণে সব কিছুই স্থগিত হয়ে যায়। নির্বাচন অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় কলকাতা পুরসভা কে বা কারা চালাবেন, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। এ বিষয়ে কোনও অধ্যাদেশ জারি করা হবে কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশ জারি করার প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে একটি নির্দেশিকা জারি করতে পারে।
এ দিন পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান মেয়র পারিষদদের নিয়ে প্রশাসকমণ্ডলী গঠনের সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা। পুর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, বর্তমান সঙ্কটের মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিরা যে ভাবে কাজে নেমেছেন, তা এই মুহূর্তে বন্ধ করা ঠিক হবে না। শহরকে করোনামুক্ত করতে তাঁদের প্রয়োজন। পুর বোর্ডের মাথায় কোনও অফিসারকে বসালে করোনা মোকাবিলার কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই বর্তমান বোর্ডের সদস্যদের নিয়েই প্রশাসকমণ্ডলী গড়ার কথা ভাবা হয়েছে বলে জানান পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের একাধিক আধিকারিক। যদিও সব কিছুই নির্ভর করছে নবান্নের অনুমোদনের উপরে।
পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার, ৭ মে সরকারি ছুটি। তাই এ বিষয়ে যা কিছু নির্দেশ জারি করার, তা করতে হবে কাল, অর্থাৎ বুধবারের মধ্যে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর প্রস্তাব নবান্নে পাঠিয়েছে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমই সেই দফতরের মন্ত্রী।