COVID-19

প্রতিষেধক নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অধীনে নিউ টাউনের এই শিবিরে প্রশিক্ষণ নেবেন বারাসত জেলা হাসপাতাল, ব্যারাকপুর সাগর দত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালের মতো ১২টি বড় হাসপাতালের কর্মীরা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০১:৫৯
Share:

প্রতিষেধক দেওয়া এবং তা সংরক্ষণের জন্য পাবলিক হেলথ নার্স ছাড়াও কোল্ড চেন পয়েন্টে প্রচুর কর্মী কাজ করেন।

করোনা পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষেধক সংরক্ষণ, ব্যবহার এবং সে সংক্রান্ত বিধিনিষেধ সম্পর্কে বিশদে জানাতে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে আজ, বুধবার থেকে একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করছে উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর অধীনে নিউ টাউনের এই শিবিরে প্রশিক্ষণ নেবেন বারাসত জেলা হাসপাতাল, ব্যারাকপুর সাগর দত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালের মতো ১২টি বড় হাসপাতালের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনার ২৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবিকা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

মঙ্গলবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জেলার কোন হাসপাতালে কোন ভ্যাকসিন কত পরিমাণে আছে, সে সব তথ্যও ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মাধ্যমে একসঙ্গে করে রাখা হবে। এর ফলে কোন হাসপাতালের কতটা ভ্যাকসিন প্রয়োজন, কতটা ব্যবহার হচ্ছে— সব তথ্যই এক নজরে পাওয়া যাবে।’’

Advertisement

বর্তমানে হাসপাতাল থেকে শিশুদের পোলিয়ো ছাড়াও ধাপে ধাপে যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস, টিটেনাস, হামের মতো রোগের প্রতিষেধক ছাড়াও বিভিন্ন ভিটামিনের ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। শিশুদের শরীরে সেই সব প্রতিষেধক দেওয়া এবং তা সংরক্ষণের জন্য পাবলিক হেলথ নার্স ছাড়াও কোল্ড চেন পয়েন্টে প্রচুর কর্মী কাজ করেন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নিউ টাউনের শিবিরে সেই কর্মীদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক না আসায় ক্রমশ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এর পাশাপাশি সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অন্যান্য প্রতিষেধক পেতেও অনেক সময়ে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষেধকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া নিয়েও জটিলতা দেখা যায়। একটি হাসপাতালে কোনও প্রতিষেধক বাড়তি পড়ে থাকলেও অন্য হাসপাতালে সেটি অমিল— এমন ঘটনাও ঘটে। প্রতিষেধক নিয়ে প্রশিক্ষণের পরে এই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement