প্রতীকী ছবি।
কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র ছাড়া লন্ডন থেকে কলকাতায় নামার পরে এক যুবকের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেল। রবিবার সকালে রিপোর্ট আসার পরে ৩০ বছরের ওই যুবককে রাজারহাটের সরকারি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ থেকে এখন বন্দে ভারত বা বাব্ল-উড়ানে সরাসরি যাঁরা কলকাতায় আসতে চান, তাঁদের সঙ্গে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র থাকা আবশ্যিক। অন্য সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম অপরিবর্তিত থাকলেও সম্প্রতি লন্ডন থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বন্দে ভারত উড়ানে সরাসরি কলকাতায় আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে নিয়ম বদল করা হয়। কারণ, লন্ডন থেকে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র পেতে সমস্যা হচ্ছিল। এই কারণে যাত্রী সংখ্যা কমে যাচ্ছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।
তাই ঠিক হয়, লন্ডন থেকে আসার সময়ে যাঁরা কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র আনতে পারবেন না, কলকাতায় নামার পরে তাঁদের পুরনো ডোমেস্টিক টার্মিনালে নিয়ে গিয়ে লালারসের নমুনা নেওয়া হবে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তাঁদের সেখানেই অপেক্ষা করতে হবে। নেগেটিভ রিপোর্ট আসা যাত্রীরা সরাসরি বাড়ি গিয়ে ১৪ দিন গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকবেন। আর কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাঁর উপসর্গ দেখে বাকি ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: কোভিডে মৃত আরও এক পুলিশকর্মী
এই ব্যবস্থা চালু হয় গত ২২ অক্টোবর। এখন সপ্তাহে দু’দিন লন্ডন থেকে কলকাতায় উড়ান যাতায়াত করছে। একটি বুধবার রাতে এসে বৃহস্পতিবার সকালে চলে যাচ্ছে। অন্য উড়ানটি শনিবার রাতে এসে রবিবার সকালে যাচ্ছে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত বুধবার রাতে যে ৭৮ জন যাত্রী লন্ডন থেকে আসেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জনের সঙ্গে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র ছিল না। পুরনো টার্মিনালে নিয়ে গিয়ে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই ১০ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। তাঁরা বাড়ি চলে যান।
আরও পড়ুন: করোনার গ্রাসে পুজো, অপেক্ষা আগামী শারদীয়ার
শনিবার রাতে আসা ৯০ জন যাত্রীর মধ্যে ১৪ জনের কাছে ওই শংসাপত্র ছিল না। ১৪ জনের মধ্যে দু’মাসের একটি শিশুও ছিল। তাকে বাদ দিয়ে বাকি ১৩ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল।
রবিবার সকালে রিপোর্ট এলে দেখা যায়, ৩০ বছরের ওই যুবকের দেহে সংক্রমণ রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওই যুবক একাই এসেছিলেন। তাঁকে রাজারহাটে সরকারি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে বিমান সংস্থাকেও। কারণ ওই যুবক যে আসনে এসেছেন, তার আশপাশে কেউ বসে থাকলে তাকেও সতর্ক করা উচিত।’’
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, লন্ডন থেকে বিমান নামার পরে যাত্রীরা নেমে গেলে বিমান জীবাণুমুক্ত করা হয়। ফলে কলকাতা থেকে যাওয়ার যাত্রীদের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। তবে আসার সময়ে ওই যুবকের আশপাশে কারা বসেছিলেন, তাঁরা কতটা কাছে ছিলেন, সে সব দেখে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।