প্রতীকী ছবি।
রাজারহাটে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও পাশের বিধাননগর পুর এলাকায় কিন্তু ছবিটা খুব বেশি বদলায়নি।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, গত জুন মাসে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কমবেশি ৫৫০, সেখানে জুলাইয়েই তা আরও হাজার দেড়েক বেড়ে যায়। ৩১ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিধাননগরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৪১। মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। তবে পুরকর্তাদের মতে, আশার দিক এটাই যে, হাজারের কাছাকাছি নাগরিক সুস্থও হয়েছেন।
বাজারের অনাবশ্যক ভিড়, মাস্ক না-পরার প্রবণতা এবং দূরত্ব বজায় না-রাখার অভ্যাসই বিপদ ডেকে আনছে বলে মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার দাবি, সরকারি নিয়ম যাতে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, হোম কোয়রান্টিনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের উপরেও নজর রাখা হচ্ছে। কারণ, নিয়ম ভাঙার বেশ কিছু ঘটনা পুরসভার নজরে এসেছে। তাই পুরকর্তাদের আবেদন, হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দিষ্ট সময় শেষ না-হওয়া পর্যন্ত বাড়ি থেকে কোনও ভাবেই বেরোনো যাবে না।
বিধাননগরের এই অবস্থা হলেও ওই পুরসভার অনতিদূরে রাজারহাট গ্রামীণ এলাকায় করোনা পরিস্থিতির ছবি কিছুটা আশাব্যঞ্জক বলেই প্রশাসনের একাংশের মত। রাজারহাট ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, সেখানে এখনও পর্যন্ত ১৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৯৪ জন। ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। মাঝে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও বর্তমানে চার-পাঁচ জনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন না বলেই খবর। রাজারহাটের বিডিও
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, নাগরিকদের একটি অংশের এখনও হুঁশ ফেরেনি। কিন্তু গরিষ্ঠ অংশই সচেতন হয়েছেন। বিধিও মানছেন।
তবে বিধাননগর পুর এলাকায় সচেতনতার প্রসারে জোর দেওয়ার পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নেরও চেষ্টা চলছে বলে জানান এক পুর কর্তা। সল্টলেকের পাশাপাশি রাজারহাট-গোপালপুরেও একটি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ধাঁচে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও তাঁদের ভাবনায় রয়েছে বলে বিধাননগর পুরসভা সূত্রের দাবি। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘হোম কোয়রান্টিনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের কাছে আবেদন, কোনও ভাবেই বাইরে বেরোবেন না। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কোনও প্রয়োজন হলে প্রশাসন সহযোগিতা করবে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)