Coronavirus

শুরুতেই বেলগাছিয়া বস্তি, আজ র‌্যাপিড টেস্ট শুরু হল রাজ্যে

কোভিড-১৯ পরীক্ষার পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টও করতে উদ্যোগী রয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ১২:০৫
Share:

র‌্যাপিড টেস্ট করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি: পিটিআই

সোমবার উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তি এলাকা থেকেই র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু হল রাজ্যে। এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা সেখানে গিয়ে বাসিন্দাদের নমুনা সংগ্রহে নেমেছেন।

Advertisement

আগেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছিলেন, “দুপুর ১২টা থেকে বেলগাছিয়া বস্তিতে শুরু হচ্ছে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট।” সেই মতো প্রস্তুতি নিয়ে এ দিন ময়দানে নামেন চিকিৎসকরা। শুরু হয় র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় আরও বেশি করে পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কোভিড-১৯ পরীক্ষার পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টও করতে উদ্যোগী রয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-র বাসিন্দাদের র‌্যাপিড টেস্ট করতে পারবে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই ভাবে বিভিন্ন জেলার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য দফতর নির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছে, কোন হাসপাতালগুলি এই টেস্ট করতে পারবে। ২৮টি জেলার ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ র‌্যাপিড পরীক্ষা করবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আজ থেকে কিছু ছাড়, তবে হটস্পটে কড়া নিয়মে সিল বহু পাড়া​

ইতিমধ্যে সরকারি সব হাসপাতালগুলির কাছে এ বিষয়ে নির্দেশিকাও পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই কারণেই ওই সব এলাকায় দ্রুত র‌্যাপিড টেস্ট করতে চাইছে রাজ্য। এ দিন বেলগাছিয়া দিয়ে শুরু হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

র‌্যাপিড টেস্ট কী?

কোভিড-১৯ নির্ণায়ক কোনও টেস্ট নয়। যে কোনও ভাইরাস শরীরে আক্রমণ করলে, মানুষের দেহে ওই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিজে থেকে তৈরি হয় প্রতিরোধী ক্ষমতা। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে 'অ্যান্টিবডি'। চিকিৎসকদের দাবি, যে কোনও রেড জোনের বাসিন্দার র‍্যাপিড টেস্ট করলে জানা যাবে, সেই ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না। একটি বিশেষ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেলে ধরে নেওয়া হবে সদ্য ওই ব্যাক্তির শরীরে সংক্রমণ হয়েছে। তাই চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিকে সম্ভাব্য কোভিড আক্রান্ত খোঁজার একটি বাছাই পর্ব বা স্ক্রিনিং বলেই দাবি করেছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ মনে করছে, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় করোনার প্রভাব বুঝতে র‌্যাপিড টেস্ট সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুন: নিষেধ উড়িয়ে আত্মীয়ের বাড়ি ঘোরার নালিশ

র‌্যাপিড টেস্টের জন্যে কেন্দ্রের কাছে ৫০ হাজার কিট চেয়েছিল রাজ্য। পাওয়া গিয়েছে মাত্র ১০ হাজার। আপাতত ওই কিট ব্যবহার করেই টেস্ট শুরু হচ্ছে। তবে আতঙ্ক যাতে না ছড়ায় সে কথা মাথায় রেখে, যাঁর র‌্যাপিড টেস্ট হবে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার ফল জানানো হবে না, জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement