Coronavirus

বাজারে ভিড় কমাতে তৎপর পুলিশ

স্পর্শকাতর এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা–বিক্রেতা একত্রিত হওয়ায় যাতে ওই বাজার থেকে তথাকথিত ‘নিরাপদ’ এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে না-পড়ে, সে দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০২:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি

দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন জায়গা-সহ বন্দর এলাকার একাধিক জায়গায় প্রতিদিনের আনাজপাতি আসে জিঞ্জিরাবাজার থেকে। সেটিই বিস্তীর্ণ এলাকায় আনাজের জোগানের সব চেয়ে বড় পাইকারি বাজার। আর লকডাউনের মধ্যে সেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতার ভিড় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুলিশের কপালে।

Advertisement

ওই বাজার থেকে যেমন বন্দর এলাকার গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ ও আক্রায় আনাজ সরবরাহ হয়, তেমনই আলিপুর, নিউ আলিপুর, চেতলা, বেহালা, পর্ণশ্রী, মহেশতলার খুচরো ব্যবসায়ীরাও সেখান থেকে আনাজ কিনে এলাকার বাজার এবং অলিগলিতে ঘুরে বিক্রি করেন। ফলে শহরের বড় একটি অংশে আনাজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য ওই পাইকারি বাজার সচল থাকা প্রয়োজন। স্পর্শকাতর এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতা–বিক্রেতা একত্রিত হওয়ায় যাতে ওই বাজার থেকে তথাকথিত ‘নিরাপদ’ এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে না-পড়ে, সে দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে পুলিশ। বিক্রেতারা যাতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা-কবচ নিয়ে এবং দূরত্ব-বিধি মেনে ব্যবসা করেন, তা নিশ্চিত করতে বাজারে মোতায়ন করা হয়েছে তারাতলা থানার কর্মীদের।

লালবাজার সূত্রের খবর, কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বাজার খোলা থাকার সময়ও। আগে যেখানে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকত, সেখানে এখন বিক্রিবাটা চলছে সকাল আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত। বাজারের মাঝের দু’টি সারিতে কোনও বিক্রেতাকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রেসব্রিজের নীচে। পুলিশের দাবি, ভিড় কমানোর জন্য পুরো এলাকা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে, যাতে একসঙ্গে অনেক ক্রেতা ঢুকতে না-পারেন। এক পুলিশকর্তা জানান, বাজারে ঢোকা-বেরোনোর পৃথক পথ করা হয়েছে। আনাজপাতি আনা এবং নিয়ে যাওয়ার গাড়িগুলিকে ৫০ মিটার দূরে আটকে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নেই পিপিই, ঝুঁকি নিয়ে কাজ দমকলকর্মীদের

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, জিনিস কেনার জন্য ক্রেতারা যাতে অহেতুক ঘুরে দরদাম না-করেন তার জন্য পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। বিক্রেতাদের বলে দেওয়া হয়েছে, জিনিসের দামের ফারাক যেন বেশি না হয়। তা হলে ক্রেতারা বাজারে অকারণে ঘোরাঘুরি করবেন না। এতে ভিড়ও কমবে।

লালবাজার জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে যাতে ভিড় না-হয়, সে জন্য ইতিধ্যেই কেওড়াপুকুরের মতো পাইকারি আনাজের বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে খুচরো বাজার খোলা রয়েছে। বন্ধ রয়েছে হরিদেবপুর থানা এলাকার কবরডাঙা পাইকারি মাছবাজারের একাংশও।

আরও পড়ুন: লকডাউনে জীবনের অন্য পাঠে জোর দিচ্ছে পাঠভবন স্কুল

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement