প্রতীকী ছবি।
বিধাননগর পুর এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়াল। পুরসভা সূত্রের খবর, শুক্রবার পর্যন্ত পুর এলাকায় সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ১০৭০ জন। উদ্বিগ্ন পুর প্রশাসন এলাকাবাসীদের সচেতন করতে প্রচার এবং জনবহুল এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেছে। শুক্রবার বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ বিভিন্ন থানা এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশ প্রচার চালানো ছাড়াও নাগরিকেরা মাস্ক পরে রাস্তায় বেরিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে।
কন্টেনমেন্ট জ়োন চিহ্নিত করে লকডাউনে কড়াকড়ি চালু হওয়ার পরের দু’দিনে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কমলেও ফের তা বাড়ছে। শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি। এ দিন পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘নাগরিকদের কাছে বার বার আবেদন করা হচ্ছে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং স্যানিটাইজ়ার-মাস্ক ব্যবহার করতে। কিন্তু তার
পরেও নাগরিকদের একাংশের হুঁশ ফিরছে না।’’
সম্প্রতি ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনু চক্রবর্তীর গাড়িচালক করোনায় আক্রান্ত হন। পাশাপাশি, ৬ নম্বর বরো অফিসের এক কর্মীও আক্রান্ত হন। এর পরে ওই কাউন্সিলর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এ দিন তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বরো অফিসের কর্মীদেরও করোনা পরীক্ষা করানো হবে।
এ দিন সকালে বিধাননগরের নতুন পুলিশ কমিশনার মুকেশ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জ়োন পরিদর্শন করেন। কন্টেনমেন্ট জ়োনে নিয়ম পালন করা হচ্ছে কি না এবং বাসিন্দাদের কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখেন তিনি। এর পাশাপাশি, রাস্তায় সাধারণ মানুষ মাস্ক পরেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায়, এই পরিস্থিতিতেও অনেকেই মাস্ক না পরে বাইরে বেরিয়েছেন। তাঁদের কারও যুক্তি, গরমে হাঁফিয়ে গিয়েছেন বা মাস্ক ধুতে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার পকেটে মাস্ক রেখেই বেরিয়েছেন রাস্তায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এ সব ক্ষেত্রে প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছেন। কারণ তাঁদের দাবি, ওই সমস্ত অসচেতন এলাকাবাসীরা শুধু নিজেদের নয়, সকলেরই বিপদ ডেকে আনছেন। যদিও কড়া পদক্ষেপ করার বদলে এলাকায় প্রচার এবং মাস্ক বিতরণেই জোর দিচ্ছে পুলিশ।