Coronavirus

বিধাননগরে বাড়ছে করোনা, চিন্তায় প্রশাসন

বিধাননগর পুরসভা সোমবার জানিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা দুই মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০৪:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সল্টলেক, বাগুইআটি ও রাজারহাটের বাসিন্দা চার জন মহিলাকে। তাঁদের মধ্যে তিন জনের পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভা সোমবার জানিয়েছে, স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা দুই মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা দু’জনই ভিআইপি রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স।

ওই হাসপাতালেরই আরও দু’জন নার্সকে রাজারহাটের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গত ১৪ এপ্রিল। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর জানান, রবিবার এক জন নার্সের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। আক্রান্ত দুই নার্স, এক জন আয়া ও এক গাড়িচালক রাজারহাট থানা এলাকারই বাসিন্দা। এ দিন ওই এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকার কিছুটা অংশ ঘিরে রেখে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, করোনার উপসর্গ থাকায় সল্টলেকের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলাকে সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালের নার্স। স্থানীয় কাউন্সিলর নীলাঞ্জনা মান্না জানান, ওই মহিলার অসুস্থতার খবর পেয়ে এ দিন বিধাননগর পুরসভার তরফে এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে বিধাননগর পুর এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭।

আরও পড়ুন: ‘মা রোজ মারে’, থানায় এসে বলল ছ’বছরের মেয়ে

বিধাননগর পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হাতে গোনা কয়েক জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ১৩ এপ্রিল থেকে নতুন করে বাগুইআটি এবং বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকায় পরপর সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে। তাতে চিন্তা বেড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। বিশেষত, সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টর এলাকায়। পুরসভার পক্ষ থেকে এ দিন বাগুইআটি থানা এলাকার কয়েকটি বাজার জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হয়। ওই বাজারগুলি দু’দিন বন্ধ রাখা হবে।

পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানান, নতুন করে কয়েকটি এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তাই চিন্তা বাড়ছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় পরিচ্ছন্নতা, প্রচার, বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহের কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও একাংশের হুঁশ ফিরছে না। দীর্ঘ সময় ধরে বাজার কিংবা নানা অজুহাতে বাইরে থাকছেন বাসিন্দারা। এ দিনও তিনি বাসিন্দাদের কাছে বাড়িতে থাকার আবেদন জানান।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement