কন্টেনমেন্ট জ়োন পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।—নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তাই কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলির পাশাপাশি শহরের বাকি এলাকার কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখতে চায় লালবাজার। সূত্রের খবর, শহরের যে সমস্ত ঘিঞ্জি এলাকায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে, সেই সব এলাকা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে তা বিশ্লেষণ করতে অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। ওই তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আরও কিছু এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োনের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার শহরে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৪ জন। সুস্থ হয়ে এ দিন বাড়ি ফিরেছেন ২০৪ জন। বৃহস্পতিবারই শহরের ২৫টি সংক্রমিত এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে বেছে নিয়ে নতুন করে লকডাউন শুরু করেছিল প্রশাসন। এ দিন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮। নতুন করে ছ’টি এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হয়েছে। আগের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে তিনটি এলাকা। ওই সমস্ত এলাকার ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড দিয়ে। সেই ব্যারিকেডের মুখে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। শুক্রবার শহরের ওই সমস্ত কন্টেনমেন্ট জ়োন পরিদর্শনে যান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে উল্টোডাঙা, বেলেঘাটা, গিরিশ পার্ক-সহ বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জ়োনের পুলিশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। গিরিশ পার্কে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরে কমিশনার জানান, বাসিন্দাদের কারও কিছু প্রয়োজন হলে পুলিশকর্মীরাই যাতে দ্রুত ব্যবস্থা করে দেন, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন ওই কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলিকে জীবাণুমুক্ত করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই শহরের ৫টি বস্তি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংক্রমণ যাতে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়, তা নিশ্চিত করতেই ওই সমস্ত এলাকার তথ্য বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।