ফাইল চিত্র
পেশাগত কারণে কলকাতার ‘রেড জ়োন’-এর সঙ্গে যোগ রয়েছে দক্ষিণ শহরতলির পুর নাগরিকদের। আর সেই কলকাতা-যোগের কারণে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে বলে দাবি করছেন পুরকর্তারা।
রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬। ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৫টি ওয়ার্ড সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই পুর এলাকারই বাসিন্দা, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার বাড়িও নজরবন্দি। তবে জরুরি প্রয়োজনের জন্য তাঁর যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা।
পুরসভা সূত্রের খবর, সিল করে দেওয়া ওয়ার্ডগুলির কয়েক জন বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত। পেশাগত কারণে ওই আক্রান্তদের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে কলকাতার যোগাযোগ রয়েছে। তাই এ বার তাঁদের থেকে যাতে বাকি বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রমণ না-ছড়ায়, তাই ওই ওয়ার্ডগুলি সিল করে বাসিন্দাদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পুরসভা ও পুলিশের তরফে ওই সব ওয়ার্ডে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ওয়ার্ডগুলির মধ্যে দোকান এবং বাজার খোলা নিয়েও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না জানতে এখনও পর্যন্ত কোনও পরীক্ষা করানো হয়নি। ফলে উপসর্গ ছাড়াই ভাইরাস নিয়ে কেউ এলাকায় রয়েছেন কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না।
পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাজিপুর কুমোরপাড়ার বাসিন্দা, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছেন এক আক্রান্ত। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই ব্যক্তি সংক্রমিত হওয়ার পরেই ওই ওয়ার্ড সিল করা হয়। স্বাস্থ্য অধিকর্তার বাড়ির চার দিকও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। শুধু তাঁর গাড়ি চলাচলের জন্য একটি সরু রাস্তা খোলা আছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘কলকাতা-যোগে একের পর এক সংক্রমণ হচ্ছে। গত শুক্রবারও কামালগাজি এলাকায় এক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি যে আবাসনে থাকেন, পুরসভার তরফে সেটি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।’’
পুর চেয়ারম্যান পল্লবকান্তি দাস বলেন, ‘‘আক্রান্তদের থেকে সংক্রমণ যাতে এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে, সে দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ওই ওয়ার্ডগুলিতে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা এখন পুরোটাই রেড জ়োন। তাই পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে কলকাতা থেকে এই পুর এলাকায় যাতে সহজে কেউ ঢুকে পড়তে না পারেন, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: কার মাঞ্জায় দুর্ঘটনা, খুঁজতে হিমশিম পুলিশ