প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হলেন বি সি রায় শিশু হাসপাতালের এক চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী। ঘটনাচক্রে এ দিনই ওই শিশু হাসপাতালে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার ঠিকাকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওয়ার্ড ছেড়ে বি সি রায় শিশু হাসপাতালের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান প্রায় দেড়শো ঠিকাকর্মী। পরে অবশ্য হাসপাতালের সুপার এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের আশ্বাসে তাঁরা কাজে যোগ দেন। এর আগে কর্মক্ষেত্রে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার দাবি জানাতে বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেখানকার নার্সেরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ দেখান ওই ঠিকাকর্মীরা। ওই হাসপাতালে একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে প্রায় দু’শো জন ঠিকাকর্মী রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁরা ওই হাসপাতালে কর্মরত। তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই তাঁদের বেতন অনিয়মিত। তার মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে।
ঠিকাকর্মী শৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাসপাতালে বাইরে থেকে রোগী, রোগীর পরিবারের লোকজন আসছেন। আমরাই তাঁদের দেখভাল করছি। কিন্তু আমাদেরই মাস্ক, টুপি, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ার নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’ আরও এক ঠিকাকর্মী বাপ্পা মান্না জানান, হাসপাতাল সুপার তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন সব কিছু খতিয়ে দেখার। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তাই সুপারের কথা মতো কাজে যোগ দিয়েছেন।
পরে হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ সন্দীপ সামন্ত অবশ্য বলেন, ‘‘কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে তাঁদের বোঝানো হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।’’
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে অডিয়ো ক্লিপ, ব্যবস্থা নিচ্ছে হাসপাতাল