Coronavirus in Kolkata

মৃত দুই পুলিশকর্মী, নেপথ্যে করোনা

পুজোয় বাহিনী সুরক্ষা মেনে কাজ করলেও সংক্রমণ রুখতে পারবে তো?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৫৮
Share:

ছবি: পিটিআই।

পুজোর মুখে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিশ আধিকারিকের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকালে মৃত্যু হয় সশস্ত্র শাখার পঞ্চম ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর সিদ্ধান্তশেখর দে-র। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

Advertisement

একই সঙ্গে এ দিন মারা গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশকর্মী হোমবাহাদুর থাপা। গত জুলাইয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। তখন থেকে তিনি টানা কয়েক মাস মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলে পরিবারের লোকজন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু তাঁর ফুসফুসে একটি অন্য সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে বাড়িতে অক্সিজেন দেওয়ার রাখার ব্যবস্থা করতে বলেন চিকিৎসকেরা। সেই ভাবেই কয়েক দিন বাড়িতে রাখার পরে শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এর পরেই তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হলে সেখানে রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি করোনা নেগেটিভ হয়ে মারা গেলেও তাঁর সহকর্মীদের একাংশের দাবি, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরেই ফুসফুসের ওই সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগে থেকে ওই সংক্রমণ তাঁর ছিল না বলেও অনেকে মনে করছেন।

পুজোর মুখে দ্বিতীয়ার দিনে পর পর দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যুর পরে প্রশ্ন উঠেছে, পুজোয় বাহিনী সুরক্ষা মেনে কাজ করলেও সংক্রমণ রুখতে পারবে তো?

Advertisement

অনেকেই বলছেন, পুজোয় দূরত্ব-বিধি পালন করার কথা বলা হলেও ভিড়ের মধ্যে তা সম্ভব হবে না। ফলে বাহিনীতে ফের নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়বে বলেই আশঙ্কা তাঁদের।

আজ, সোমবার থেকেই কার্যত রাস্তায় ভিড় সামলাতে নামছে পুলিশ। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক, ফেসশিল্ড পরে তাঁদের কাজ করতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে।

কিন্তু পঞ্চমী থেকে যদি অন্য বারের মতো লোকজন রাস্তায় নেমে পুজো মণ্ডপ ঘুরতে শুরু করেন, তা হলে কী হবে, তা বলতে পারছেন না খোদ পুলিশকর্মীরাই।

লালবাজার সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২৮০০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু করোনার পরে শারীরিক দুর্বলতা থেকে যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। তারই মধ্যে পুজো এসে যাওয়ায় অনেকে সেই দুর্বলতা নিয়েই রাস্তায় নামছেন বলে খবর।

এই মুহূর্তে রোজ পুলিশকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও জুলাই-অগস্টের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু পুজোর পরে ফের সেই আগের মতোই দিনে ৩০-৩৫ জন করে আক্রান্ত হতে পারেন বলে পুলিশেরই একাংশের মত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement