Coronavirus

লকডাউন না-মেনে রাস্তায়, প্রশ্ন করায় পুলিশকে ‘হেনস্থা’

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে চালক জানান, তিনি পিকনিক গার্ডেন থেকে ওই যাত্রীদের নিয়ে সল্টলেকে এসেছেন বাজার করতে। সেই উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে পুলিশ জেরা চালাতে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৪
Share:

আঙুল তুলে পুলিশকে শাসাচ্ছেন ওই তরুণী। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

লকডাউন চলাকালীন খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে দু’জায়গায় নিগৃহীত হতে হল কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশের কর্মীদের। একটি ঘটনা ঘটেছে বুধবার সল্টলেকে। অন্যটি মঙ্গলবার বিকেলে, বাঁশদ্রোণী থানার ব্রহ্মপুরে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে গাড়ি পরীক্ষা করছিলেন বিধাননগর উত্তর থানার সাব-ইনস্পেক্টর সুমন ভট্টাচার্য ও কয়েক জন পুলিশকর্মী। সে সময়ে সিএ আইল্যান্ডের দিক থেকে একটি গাড়ি আসছিল। বাণিজ্যিক নম্বর দেখে সেটি আটকান পুলিশকর্মীরা। গাড়িতে ছিলেন এক মহিলা ও তাঁর বন্ধু। কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করায় চালক জবাব দেন, জরুরি কারণে বেরিয়েছেন। জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে গাড়ির ডিকি পরীক্ষা করে পুলিশ। দেখা যায়, চাউমিন এবং অন্য খাদ্যসামগ্রী রয়েছে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে চালক জানান, তিনি পিকনিক গার্ডেন থেকে ওই যাত্রীদের নিয়ে সল্টলেকে এসেছেন বাজার করতে। সেই উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে পুলিশ জেরা চালাতে থাকে। আচমকা গাড়ি থেকে নেমে এসে ওই মহিলা যাত্রী কর্তব্যরত সাব-ইনস্পেক্টরকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। তিনি তাঁকে লাথি মারারও চেষ্টা করেন। অভিযোগ, নিজের মুখের ফোড়া ফাটিয়ে এসআইয়ের জামায় মুখ ঘষে সেই রক্ত লাগিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘তোরও করোনা হবে!’’ হুমকি দিয়ে বলতে থাকেন, বাড়ির প্রয়োজনে বেরিয়েছেন। এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘চাউমিন কিনতে কেউ গাড়ি ভাড়া করে সল্টলেকে আসে?’’ ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছন মহিলা পুলিশকর্মীরা। ওই মহিলা যাত্রী, তাঁর বন্ধু ও গাড়ির চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। ধৃতেরা হলেন শর্মিষ্ঠা দেবনাথ, নির্মল বাল্মীকি ও চালক জাভেদ খান।

Advertisement

অন্য দিকে, পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগে মঙ্গলবার এক মহিলা, তাঁর ভাই ও বাবাকে গ্রেফতার করেছে নেতাজিনগর থানা। ঘটনার সূত্রপাত ওই দিন বিকেলে। ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা তাপস দাস ও তাঁর ছেলে শুভ দাস মোটরবাইকে এনএসসি বসু রোড ধরে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে ওই রাস্তায় নাকা-তল্লাশি চলছিল। ঊষা মোড়ে তাপসবাবুদের বাইক থামাতে অনুরোধ করেন নেতাজিনগর থানার সার্জেন্ট সৌমেন দাস। অভিযোগ, বাবা ও ছেলের মাথায় হেলমেট ছিল না। কেন বেরিয়েছেন জিজ্ঞাসা করায় সদুত্তর দিতে পারেননি বাবা ও ছেলে। উল্টে কেন তাঁদের পথ আটকানো হল, তা নিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভ।

পুলিশ জানায়, বাবা ও ভাইকে আটকানো হয়েছে, ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাপসবাবুর মেয়ে নেহা দাস বিশ্বাস। অভিযোগ, তিনি ও তাঁর ভাই পুলিশকর্মীদের ধাক্কা মারেন। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন ওই সার্জেন্ট। ঘটনার খবর পেয়ে থানা থেকে মহিলা বাহিনী পৌঁছয়। গ্রেফতার করা হয় তাপসবাবু, নেহা ও শুভকে। পুলিশের অভিযোগ, নেহা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পরে থানা থেকে তাপসবাবুকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলেও বাকি দু’জনকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement