ফাইল চিত্র
তাঁরা থাকেন কলকাতা শহরে। অথচ, নির্দিষ্ট কোনও ঠিকানা নেই তাঁদের। লকডাউনের কারণে কাজও পাচ্ছেন না সেই মানুষেরা। মিলছে না প্রতিদিনের খাবার। সেই সব নিরাশ্রয় মানুষজনের খাবারের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুর প্রশাসন। বুধবার পুর ভবনে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেয়র জানান, ওই নিরাশ্রয় মানুষগুলির পেট চলে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী কয়েক দিন তাঁদের খাওয়ানোর দায়িত্ব নেবে পুর প্রশাসন। কালীঘাটে পুরসভার অতিথি নিবাস-সহ একাধিক এলাকায় তাঁদের খাওয়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে জনপ্রতিনিধিদের। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদের ওই কাজে নিযুক্ত করতে পারবেন পুর প্রতিনিধিরা।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, নিরাশ্রয়দের জন্য কলকাতা পুরসভার সাতটি এবং নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের অধীনে ৩২টি হোম রয়েছে কলকাতায়। সেখানে প্রায় আড়াই হাজার লোক থাকেন। যত দিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তত দিন তাঁদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে পুরসভা। খাবারের ব্যবস্থা করা হবে জঞ্জাল অপসারণ দফতরের কর্মীদের জন্যও। তবে ওই লোকজনদের খাওয়ানো হবে বিভিন্ন জায়গায়, যাতে এক জায়গায় বেশি ভিড় না হয়।
এ দিনের বৈঠকে সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ তহবিল গড়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেই তহবিলে আপাতত পাঁচ কোটি টাকা রাখা হচ্ছে। এ ছাড়াও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুরসভার অধীন প্রতিটি বাজার, শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল, রাস্তা ও ফুটপাতে জীবাণুনাশক ছড়ানোর কাজ চলবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য, জঞ্জাল অপসারণের মতো যে সব দফতর পুরসভায় জরুরি কাজের জন্য নিযুক্ত হয়েছে, তাদের গাড়ি কম থাকায় অন্য দফতরের গাড়ি এবং চালকেরা ওই দফতরগুলিতে কাজ করবেন।