পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস নিয়ে শহরবাসীকে সচেতন করতে ‘প্রণাম’ ও ‘তেজস্বিনী’র মতো সামাজিক প্রকল্পকে কাজে লাগাতে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। শনিবার বাহিনীর আধিকারিকদের পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ওই প্রকল্পগুলির মাধ্যমেই করোনা বিষয়ক বিধিনিষেধ সম্পর্কে প্রচার চালানো হোক। কলকাতা পুলিশের এই প্রকল্পগুলির মোট সদস্য-সংখ্যা লক্ষাধিক। এ দিন কমিশনার বলেন, ‘‘ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।’’
করোনাভাইরাস ঠেকাতে কী কী করা উচিত, তা নিয়ে রাজ্য পুলিশ শুক্রবারই বাহিনীকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্কের সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। এ দিন হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো নির্দেশিকায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সচেতনতার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই প্রধান কাজ।
পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশকর্মীদের স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হলেও তা নিজেদেরই কিনে নিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের ডিউটি করার সময়ে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।
পুলিশের একাংশের বক্তব্য, থানাগুলিতে অনবরত বাইরের লোকের আনাগোনা লেগেই থাকে। আবার ট্র্যাফিক বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে সব পুলিশকর্মী রাস্তায় থাকেন, তাঁদের পক্ষে কী ভাবে ওই পদ্ধতি মেনে চলা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মনে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার চারু মার্কেট থানার তরফে এলাকায় করোনা নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে।