Janata Curfew

‘জনতা কার্ফু’ চললেও বন্ধ হবে না জঞ্জাল সাফাই

ঘোষণার পর থেকেই জঞ্জাল সংগ্রহ এবং সাফাইয়ের কাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

আজ, রবিবার ‘জনতা কার্ফু’ চললেও কলকাতা এবং বিধাননগর পুর এলাকায় জঞ্জাল অপসারণের কাজ বন্ধ থাকবে না।

Advertisement

শনিবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কলকাতা শহরে দৈনিক সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন জঞ্জাল জমে। সেই জঞ্জাল অপসারণ করা খুবই জরুরি। কাজ বন্ধ রাখার কোনও কারণ নেই।’’ তিনি নিজে এবং বিভাগীয় মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার রবিবার সকাল থেকে ওই কাজ দেখতে রাস্তায় ঘুরবেন বলে জানান মেয়র। পাশাপাশি, বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল সাফাই) দেবাশিস জানা জানিয়েছেন, সেখানে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে চারশো মেট্রিক টন আবর্জনা জমা হয়। ওই কাজও বন্ধ রাখা যাবে না।

দেশ জুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ, রবিবার সারা দেশে ‘জনতা কার্ফু’ পালনের ডাক দেন। অর্থাৎ, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘরে থাকার আবেদন জানানো হয়।

Advertisement

সেই ঘোষণার পর থেকেই জঞ্জাল সংগ্রহ এবং সাফাইয়ের কাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘প্রতিদিন যে ভাবে কাজ হয়, সে ভাবেই হবে।’’ শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল তোলা এবং তা ধাপায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিন শিফটে প্রায় ১৪ হাজার কর্মী কাজ করেন। তিনি জানান, সকাল, দুপুর এবং রাতেও জঞ্জাল তোলা ও সাফাইয়ের কাজ চলে। সেই কাজ রোজকার মতোই চলবে।

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, কাউন্সিলরেরা পথে নেমে জঞ্জাল সাফাইয়ের তদারকি করতে পারেন। তবে কাজের সময়ে এক জায়গায় যাতে অনেকে জড়ো না হন বা একে অন্যের বেশি কাছাকাছি না আসেন, তা নিশ্চিত করতে আবেদন জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কারও কারও আবার প্রস্তাব, সকাল ৭টার আগে জঞ্জাল তোলা হোক।

পুরসভার এক কর্তা অবশ্য জানান, এক-একটি গলিতে এক-এক জন পুরকর্মী কাজ করবেন। ফলে অনেকের জড়ো হওয়া কিংবা কাছাকাছি আসার প্রশ্ন উঠছে না। কিন্তু সকাল ৭টার আগে জঞ্জাল তোলা মুশকিল। অন্যান্য দিনে যেমন হয়, তেমন ভাবেই কাজ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement