এ ভাবেই বাঁশ, জলের পাইপ দিয়ে পথ অবরোধ করলেন এলাকার বাসিন্দারা। -নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় স্কুলে হতে পারে কোয়রান্টিন সেন্টার। সেই খবর শুনেই আতঙ্কে বাঁশ, জলের পাইপ দিতে পথ অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের কর্তারা চেষ্টা করছেন আতঙ্কিত ওই বাসিন্দাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে পথ অবরোধ তুলতে। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন থানা এলাকার যাত্রাগাছিতে।
বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা নিউটাউন-যাত্রাগাছি রোডের উপর মোটা জলের পাইপ এবং বাঁশ, গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ শুরু করেন। বড় বড় পোস্টার লাগানো হয়, ‘বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ’। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেন, সেখানে করোনা সন্দেহভাজনদের জন্য কোয়রান্টিন সেন্টার করতে দেওয়া হবে না।
প্রশাসনের দাবি, স্বাস্থ্য দফতর সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি ব্লককে। সেই কারণেই যাত্রাগাছি এলাকার প্রণবানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়কে কোয়রান্টিন সেন্টার হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এক অবরোধকারী পুলিশের সামনে দাবি করেন, ‘‘এখানে কোয়রান্টিন সেন্টার হলে এলাকায় রোগ ছড়াবে। আমরা এই এলাকায় এ ভাবে কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করতে দেব না।”
আরও পড়ুন: প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকলেই পাশ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং বিডিও অফিসের আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানুষকে বোঝাতে। যাতে গুজবে কান দিয়ে মানুষ ভুল পথে পরিচালিত না হন। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা ওই এলাকার বাসিন্দাদের বোঝাতে চেষ্টা করছি যে এখনই কোয়রান্টিন সেন্টার হচ্ছে না। একটি সম্ভাব্য জায়গা হিসাবে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে। যদি প্রয়োজন পড়ে তবেই ব্যাবহার করা হবে। আর কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে এলাকায় কখনও রোগ ছড়ায় না।”