ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে ফের করোনার হানা। গত দু’দিনে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ মোট চার জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন পুরসভার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। সংক্রমিত হওয়ার খবর পেয়ে বুধবার ওই আধিকারিকদের অফিস বন্ধ করে তা জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়। তবে এই খবরে পুর স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের একাংশের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, আক্রান্তদের মধ্যে তিন জনই পুরসভার সদর দফতরে বসেন। আর এক জন সদর দফতর সংলগ্ন ৬ নম্বর বরোর এক আধিকারিক। তাঁদের সকলেরই করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিছু দিন আগে ওই দফতরেরই এক শীর্ষ অধিকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা পুর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে গত দু’দিনে ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে আমি ছাড়াও এই দফতরের অনেকেই সংক্রমিত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মী ও আধিকারিকেরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে রোগীদের পাশে যে ভাবে দাঁড়াচ্ছেন, তার ফলেই সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে।’’ অতীনবাবু জানান, চার জন আক্রান্ত হওয়ার পরেও পুর স্বাস্থ্য দফতর বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তবে যে সমস্ত অফিস বা ঘরে কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেগুলি তিন দিন বন্ধ করে তা জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও পুরসভার সমস্ত কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ আবাসনের পুজোয় চাই পুরোহিত-রাঁধুনির করোনা রিপোর্ট
আরও পড়ুন: বিসর্জনের প্রস্তুতিতে নজর থাকছে ভিড়ে
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, মাস কয়েক আগেই পুরসভার জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র বিভাগের এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর পরে কাগজ সরাসরি হাতে না নিয়ে ড্রপবক্সে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন কাজের সূত্রে যে সমস্ত নাগরিক পুরসভায় আসছেন, তাঁদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখে এবং হাত জীবাণুমুক্ত করে তবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।