প্রতীকী ছবি।
নিউ টাউনে শুরু হল করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ। বৃহস্পতিবার সেখানকার ১২ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে একটি সেফ হোমে এই শিবির হয়। নিউ টাউনের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিষেধক নেন। হিডকো সূত্রের খবর, প্রতিষেধক প্রাপকদের তালিকা আগে থেকে প্রস্তুত করা ছিল। মেসেজ করে তাঁদের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী এ দিন তাঁরা এসেছিলেন।
প্রথমে তথ্য যাচাইয়ের পরে একটি পৃথক ঘরে বসিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়। এর পরে অন্য একটি ঘরে তাঁদের নির্দিষ্ট সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
কারও কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ দিন প্রথম প্রতিষেধক নেন নিউ টাউনের একটি বেসরকারি ক্যানসার হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী।
হিডকোর এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই সেফ হোমের দু’টি তলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেই মতো মেসেজ পাঠিয়ে দিন ও সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। প্রতিদিন ২০০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। এ দিন প্রতিষেধক নেন ৬৩ জন।
তবে বিধাননগরে প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। সেখানেও স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক মিলিয়ে রোজ ২০০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে পুরসভা সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট দিনে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ৪১ জন হাজির হয়েছিলেন, সর্বনিম্ন এসেছিলেন ৬ জন। যদিও বিধাননগর পুর এলাকায় সাড়ে চারশোর মতো আবেদনকারীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।