গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। শুক্রবার এনামুলের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। শনিবার তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এ বার প্রয়োজনে এনামুলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই। শনিবার শুল্ক দফতরের কয়েক জন আধিকারিককেও ডেকেছে সিবিআই। টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য তাঁদের ডাকা হয়েছে নিজাম প্যালেসে।
গরু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফের কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সতীশকে জেরা করে এনামুলের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার ভিত্তিতেই এনামুলকে জেরা করতে চাইছে সিবিআই। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবারই তলব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন এনামুল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এনামুল জানিয়ে দেন, তাঁর করোনা ধরা পড়েছে। কিন্তু এনামুলের বক্তব্যে নিশ্চিত হতে পারেননি গোয়েন্দারা। তাঁকে বলা হয়েছিল, সরকারি কোনও হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট জমা দিতে।
গত ২৪ নভেম্বর সিবিআইয়ের তৎপরতায় এনামুল নতুন করে করোনা পরীক্ষা করান। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভও আসে। এর পর ফের গত কাল তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনিবার সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এর পর সিবিআইয়ের সামনে এনামুলকে জেরা করায় আর কোনও বাধা রইল না। এখন দেখার এ দিন এনামুল নিজেই সিবিআইয়ের দফকতরে আসেন কি না। যদি তিনি হাজিরা না দেন তবে ফের তাঁকে তলব করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: নেত্রী মমতা বললেন, ‘অনেকে আমার মৃত্যু চায়’, শুনেই বৈঠকে কান্না বক্সির
আরও পড়ুন: ‘গুন্ডা’ ইস্যুতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার পথে কৈলাস-পুত্র আকাশ
গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে গোয়েন্দাদের। এ পার বাংলা থেকে ও পার বাংলায় গরু পাচারের ঘটনায় নাম উঠে আসে বিএসএফ কর্তা-সহ বেশ কয়েকজনের। এনামুল সীমান্ত রক্ষী একাংশ কর্মী এবং আধিকারিকদের প্রচুর টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই পাচার চক্র চালাত বলে অভিযোগ। তদন্তে জানা যায়, এক একটি কনসাইনমেন্ট পিছু টাকার ভাগ পৌঁছে যেত সীমান্ত এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছেও। এনামুলকে জেরা করে ওই সব প্রভাবশালীর বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য হাতে পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। এমনকি তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েও জেরা করতে পারে সিবিআই।