—ফাইল চিত্র।
অভিষিক্তা মোড়ের একাংশ বন্ধ করে ই এম বাইপাসের উপরে হবে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণ। আর তার জন্য উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে বিকল্প সেতু ও রাস্তা তৈরি হলেও ওই কাজের জন্য যানজটের আশঙ্কা করছে লালবাজার। সূত্রের খবর, শীঘ্রই রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড বা আরভিএনএল ওই ব্যস্ত মোড়ের একদম মাঝখানে স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করবে। ইতিমধ্যেই অভিষিক্তা মোড়ের পাশে কালিকাপুর খালের উপরে কাজ শুরু করেছে আরভিএনএল। তাতে এখনই ই এম বাইপাসের দক্ষিণমুখী গাড়ির গতি কিছুটা বাধা পাচ্ছে বলে ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, অভিষিক্তা মোড় আটকে ওই স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হলে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর দিয়ে আসা গড়িয়া বা অজয়নগরমুখী গাড়ি সোজা যেতে পারবে না। সেগুলিকে ওই রাস্তা দিয়ে এসে ই এম বাইপাসে উঠে রুবি মোড়ের দিকে গিয়ে নির্মীয়মাণ কবি সুকান্ত স্টেশনের সামনে দিয়ে ইউ টার্ন করে গড়িয়ার দিকে আসতে হবে। এতে অফিসের ব্যস্ত সময়ে অর্থাৎ সকাল এবং বিকেলে যখন গাড়ির চাপ বেশি থাকবে, সেই সময়ে অবধারিত ভাবে উত্তর এবং দক্ষিণমুখী গাড়ির গতি বাধা পাবে বলেই মনে করছে পুলিশের একাংশ। আবার রুবি মোড়ের দিক থেকে এসে যে সব গাড়ি অভিষিক্তা মোড়ের ডান দিকে ঘুরে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর ধরে, তাদের পথও বদলে যাবে এই কাজ শুরু হলে। কালিকাপুর ব্রিজ পার করে ইউ টার্ন করলে তবেই তারা যেতে পারবে নির্দিষ্ট রাস্তায়।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, ই এম বাইপাসের দক্ষিণে ওই অংশেই সব চেয়ে বেশি যানজট হয়। বিকেলের পর থেকে বা সকালে ওই এলাকা পার করা নিত্যযাত্রীদের কাছে অনেকটাই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এর পরে অভিষিক্তা মোড় বন্ধ রেখে দুই জায়গায় গাড়ি ইউ টার্ন করলে ওই যানজট আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা।
আরও খবর: সোমবার বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী, রোড শো মঙ্গলবার, থিমে রবীন্দ্রভাবনা
আরও খবর: রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের হার কমল, কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যায় ফের উদ্বেগ
তবে ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে, অভিষিক্তা মোড়ের কাছেই কালিকাপুর খালের উপরে বাইপাসের প্ৰধান রাস্তা ছেড়ে দু’পাশে দু’টি বিকল্প সেতু তৈরি করেছে কেএমডিএ। ট্র্যাফিক পুলিশের ধারণা, ওই দুই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে যানজট কম হবে। যানজট যাতে না হয়, তাই কালিকাপুর এবং অভিষিক্তা মোড়ের দু`টি সিগন্যালকে একই সঙ্গে চালানো হবে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, ওই জায়গায় মেট্রোর দু’টি স্তম্ভ তৈরি হওয়ার কথা একই সঙ্গে পাশের খালেও নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। যার জন্য ই এম বাইপাসের বড় একটি অংশ আটকে যেতে পারে। স্টেশন নির্মাণ হয়ে গেলেও রাস্তা থাকায় ওই দু’টি স্তম্ভ তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি।