শিক্ষক-চিকিৎসকদের বদলি কে কেন্দ্র করে বিতর্ক। — ফাইল চিত্র।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছে আগেই। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার স্পেশ্যাল অফিসার মেডিক্যাল কাউন্সিলে গিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেন। তার পরেই এ দিন সন্ধ্যায় শিক্ষক-চিকিৎসকদের বদলির নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক বাধল। অভিযোগ, ১৯ জনের তালিকায় শাসক-বিরোধী চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের চার সদস্য রয়েছেন। তাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী ও গণনা এজেন্ট ছিলেন।
যদিও স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, প্রত্যেককে রুটিন বদলি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ভোটের প্রার্থী ছিলেন কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিকের শিক্ষক-চিকিৎসক পরাগবরণ পাল ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিয়োথেরাপির শিক্ষক-চিকিৎসক বিষাণ বসু। গণনায় এজেন্ট ছিলেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শল্য বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক মানস গুমটা ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজির শিক্ষক-চিকিৎসক সরস্বতী দত্ত (বোধক)। মানস ও সরস্বতীকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে, পরাগকে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে ও বিষাণকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছে।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম’-এর তরফে চিকিৎসক কৌশিক লাহিড়ী ও কৌশিক চাকী বলছেন, ‘‘মেডিক্যাল কাউন্সিলে বদল চেয়েছিলেন যাঁরা, বদলা নিতেই সরকার এই বদলি করেছে। এটা রুটিন বদলি নয়।’’ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য তথা তৃণমূলপন্থী চিকিৎসক কৌশিক বিশ্বাস বলেন, ‘‘নির্দেশিকা নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে এক শ্রেণির বামপন্থী চিকিৎসক যে ভাবে রাজ্যের বদনাম করছেন, তাতে এটাই প্রত্যাশিত ছিল।’’