Narkeldanga

Violence: প্রোমোটিং ঘিরে বিবাদ, অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মারার অভিযোগ

নারকেলডাঙা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি। শিবশঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২২ ০৭:১০
Share:

নারকেলডাঙা মেন রোডে চাঞ্চল্য ছড়াল। প্রতীকী ছবি।

প্রোমোটিংকে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে রবিবার রাতে নারকেলডাঙা থানা এলাকার নারকেলডাঙা মেন রোডে চাঞ্চল্য ছড়াল। শিবশঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, প্রোমোটিং নিয়ে মতবিরোধের জেরে এক দল দুষ্কৃতী এসে তাঁর ছেলে দীপক দাসকে ক্ষুর নিয়ে আক্রমণ করে। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে মারধর করা এবং পেটে লাথি মারার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। আরও অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা এলাকার বিধায়ক পরেশ পাল এবং এলাকার কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের লোক। দু’জনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

শিবশঙ্করবাবুর অভিযোগ, এলাকায় তাঁদের একটি শরিকি জমি ছিল। এক প্রোমোটার সেখানে ফ্ল্যাট তৈরির কথা বললেও কিছুটা কাজ হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। ওই জমিতে এলাকার কয়েক জন নতুন করে প্রোমোটিং করতে এলে তাঁদের বাধা দেন শিবশঙ্কর। কারণ, তাঁদের মধ্যে কোনও চুক্তি হয়নি। নতুন করে আসা লোকজন পরেশ পালের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তুলেছেন শিবশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘আমি বাধা দেওয়ায় পরেশ পালের লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। বলা হয়, বিধায়ক ডেকেছেন। আমি না যাওয়ায় বাড়িতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা।’’

শিবশঙ্করবাবুর দাবি, নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ করতে গেলে উল্টে তাঁকেই গ্রেফতার করা হয়। রবিবার জামিন পান তিনি। সন্ধ্যার পরে ফের তাঁর বাড়িতে এক দল লোক হামলা করে বলে অভিযোগ। বাড়িতে ভাঙচুর করার সময়ে তারা তাঁর ছেলেকে ক্ষুর মারে। এমনকি, তাঁর অন্তঃস্বত্ত্বা পুত্রবধূর পেটে লাথি মারা হয়। তরুণীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিবশঙ্করবাবুর অভিযোগ, তিনি বিজেপি সমর্থক বলে তাঁকে হেনস্থা করে শাসক দল। আগেও তাঁকে মারধর করা হয়েছে।

Advertisement

নারকেলডাঙা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি। শিবশঙ্করবাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, ‘‘শিবশঙ্কর নামের কাউকে চিনি না। ঘটনাটা সম্পর্কে কিছুই জানি না। এক জন বিধায়কের পক্ষে সব ওয়ার্ডের খবর রাখা সম্ভব নয়। তবে কেউ যদি বাড়ি ভাঙচুর বা মারধর করে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক।’’ অন্য দিকে, এলাকার কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement