নাম না থাকায় আটকাল উদ্যানে ফলক স্থাপন

অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর ওই ফলক থেকে সংশ্লিষ্ট বরো চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিধায়ক এবং পুরসভার উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদের নাম বাদ দিয়েছেন।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪০
Share:

বিতর্ক এই ফলকটি নিয়েই। নিজস্ব চিত্র

কলকাতা পুর এলাকার একটি পার্কে ফলক বসানো নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। যার জেরে আপাতত স্থগিত রইল ফলক স্থাপন।

Advertisement

অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর ওই ফলক থেকে সংশ্লিষ্ট বরো চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিধায়ক এবং পুরসভার উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদের নাম বাদ দিয়েছেন। তা ছাড়া প্রশ্ন উঠেছে, ২০১২ সালে কলকাতা পুরসভার তৈরি ওই পার্কে ২০১৯ সালে কী ভাবে নতুন ফলক বসানোর চেষ্টা হয়? ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিনগরের একটি পার্ক নিয়ে এই বিতর্কের পরে স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান ফলক লাগানোর প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছেন।

১০ নম্বর বরোর অন্তর্ভুক্ত পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড। বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘কোনও পুর প্রকল্পে স্থানীয় কাউন্সিলর শুধু তাঁর নাম ব্যবহার করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে পুর চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিধায়ক এবং সংশ্লিষ্ট উদ্যান দফতরের মেয়র পারিষদের নাম প্রকল্পের ফলকে থাকতে হবে। নিয়ম না মানলে আমি বরোর তরফে সেই ফলক লাগাতে দিতে পারি না।’’ পাশাপাশি তপনবাবুর প্রশ্ন, পার্কটি ২০১২ সালে তৈরি হয়েছে। সাত বছর পরে কাউন্সিলর নিজের নামে ওই ফলক বসাচ্ছেন কোন যুক্তিতে?

Advertisement

অভিযোগের আঙুল যে কাউন্সিলরের দিকে, তিনি সিপিএমের মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, পার্কটি ২০১২ সালে তৈরি হয়েছে ঠিকই। তার পরেও বিভিন্ন পর্যায়ে পুরসভার টাকায় কাজ হয়েছে। সেই সময়ে তিনিই কাউন্সিলর ছিলেন। তখন ফলকটি তৈরি করা হলেও তা লাগানো হয়নি। ওয়ার্ড অফিসেই পড়েছিল। সেই ফলকটিই পার্কে লাগানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘ওই ফলকে পুরসভার উদ্যান দফতরের নাম উল্লেখ রয়েছে। আমি এলাকার বাসিন্দাদের দাবিতে কাউন্সিলর তহবিলের টাকায় ওই কাজ করেছি, সেই কারণে আমার নাম দিয়েছি। পুর প্রকল্পের ফলকে সবার নাম থাকতে হবে, এমন কোনও আইন নেই। পুর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সেখানেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করব।’’ তিনি জানান, পার্কের নির্মাণ, পরিকল্পনা এবং রূপায়ণ যে কাউন্সিলরের তারই উল্লেখ থাকছে ওই ফলকে। তবে অবশ্যই পুরসভার লোগো থাকলে আরও ভাল হয়। সেই বিষয়টি বিবেচনাধীন।

এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন তথা সাংসদ মালা রায় বলেন, ‘‘কাউন্সিলরের তহবিলের অর্থে কোনও প্রকল্প হলেও ফলকে শুধু নিজের নাম লিখতে পারেন না তিনি। তবে প্রকল্প যদি বিধায়ক কিংবা সাংসদ তহবিলের টাকায় হয়, সেখানে তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়। নেতাজিনগরের বিষয়ে খোঁজ নেব।’’

পুরসভার উদ্যান দফতর সূত্রের খবর, বামফ্রন্ট পরিচালিত পুর বোর্ডের সময়েই নেতাজিনগরের ওই জমিতে পার্ক তৈরির প্রস্তাব ছিল। কিছু কাজ শুরু হলেও প্রকল্প তখন শেষ হয়নি। পরবর্তীকালে, ২০১২ সালে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী কাউন্সিলর হওয়ার পরে তিনি উদ্যোগী হয়ে কাউন্সিলর এবং পুরসভার উদ্যান দফতরের খাত থেকে সেটি তৈরি করেন। সম্প্রতি ওই পার্কটি মেরামতিও হয়েছে। উদ্যানের এক দিকে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও তৈরি হচ্ছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement