প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের কর্মী রাহিদ জামানের মৃত্যু ডেঙ্গিতেই হয়েছে বলে এখনই বলতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, রাহিদের ডেঙ্গি ছাড়াও অন্য কোনও অসুখ ছিল কি না এবং সেই অসুখেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানতে পরীক্ষা করা হবে। তার আগে একে ডেঙ্গি-মৃত্যু বলতে নারাজ পুরসভা। ফলে শহরে এই মুহূর্তে ডেঙ্গি-মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।
গত জুলাইয়ে তিলজলায় ১২ বছরের এক কিশোর ডেঙ্গিতে মারা যায়। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলছেন, “চলতি বছরে শহরে ডেঙ্গিতে এক জন মারা গিয়েছে বলে জানি।’’ তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, রাহিদের মৃত্যুর কারণ জানতে হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র চেয়েছে পুরসভা। তার পরেই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
অতীনবাবুর দাবি, চলতি বছর ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ কম। পুর নথি অনুযায়ী, এ বছর অক্টোবর পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৫০। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল এক জন।
আরও পডুন: বাজি তৈরি হয় উনুনের পাশেই
আরও পডুন: জেলের পাশেই হুড়মুড়িয়ে ভাঙল ক্রেন, জখম পাঁচ
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রাহিদ দিন পনেরো ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বেসরকারি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তার পরে তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই পরীক্ষাগারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আদতে মালদহের বাসিন্দা রাহিদ শেষ কবে বাড়ি গিয়েছিলেন ও জ্বর নিয়ে ফিরেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুর আধিকারিকেরা।