প্রতীকী ছবি
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নতুন বিতর্ক বাধল ঘোলায়। বিজেপি-র অভিযোগ, ‘তৃণমূল-আশ্রিত’ দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতেই তাদের দুই কর্মী জখম হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে পাঁচ কর্মীর বাড়িতেও। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, নিজেদের গুলিতেই জখম হয়েছেন বিজেপি-র কর্মীরা।
তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকদের মারে এক মহিলা-সহ তাদের আট জন কর্মী জখম হয়েছেন। ওই ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বিজেপি-র একটি সভাকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে ঘোলার শ্রীপুর এলাকায়। বিজেপি-র উত্তর শহরতলির সভাপতি কিশোর করের অভিযোগ, তিনি যখন সভা সেরে ফিরছিলেন, তখন তাঁর গাড়ি আটকায় তৃণমূলের লোকজন। অবাধে ভাঙচুর চলে গাড়িতে। তাঁদের মারধরও করা হয়। বিজেপি-র দাবি, এলাকার বাসিন্দারা গিয়ে তাঁদের বাঁচান।
এলাকার বিধায়ক তথা বিধানসভায় সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, সভাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতেরা দিন কয়েক ধরেই ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছিল। তাঁদের এক মহিলা কাউন্সিলরের স্বামীকে মারধর করে বাড়িছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, সভার পরে বিজেপি ওই কাউন্সিলরের বাড়িতেও হামলা চালায়।
তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ঘটনার পরে সমর্থকেরা যখন ঘোলা থানার সামনে জড়ো হন, তখন প্রচুর লোক নিয়ে হামলা চালায় বিজেপি। তৃণমূলের আরও কর্মী-সমর্থক সেখানে চলে আসেন। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয় পুলিশও। গোলমাল থামাতে গিয়ে কয়েক জন পুলিশকর্মী প্রহৃতও হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে বোমা পড়তে শুরু করে। শোনা যায় গুলির শব্দও। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয়। তারই মধ্যে বিজেপি দাবি করে, পরিতোষ বিশ্বাস ও রাজা সরকার নামে দুই সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরিতোষকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন, ওই গুলি বিজেপি-র গুন্ডারাই চালিয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, বিভিন্ন হাসপাতালে জখম দলীয় সমর্থকদের চিকিৎসা চলছে। শিগগিরই মানুষকে নিয়ে তাঁরা এলাকায় শান্তি মিছিল করবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলমালে দু’পক্ষেরই ইন্ধন ছিল। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ২) আনন্দ রায় জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।