Coronavirus

ব্যারাকপুর ঘিরে সংক্রমণে উদ্বেগ

কামারহাটি এবং দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার কন্টেনমেন্ট অ্যাফেক্টেড (এ) জ়োনের হিসেব এই তথ্যকে সমর্থন জোগাচ্ছে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০৫:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি

নতুন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। বুধবারের হিসেব, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন আক্রান্ত ৫৭ জন আর উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৬ জন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পরিযায়ী শ্রমিকেরা আসার পরে এক লাফে বেড়েছে জেলার কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। ব্যারাকপুর-কেন্দ্রিক এলাকার কোভিড-১৯ মোকাবিলাই এখন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের মূল মাথাব্যথা। তার সঙ্গে রয়েছে বিধাননগর পুরসভা এলাকাও।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার কোভিড-১৯ মানচিত্র বিশ্লেষণে উঠে আসছে কয়েকটি পুরসভার প্রসঙ্গ। এবং সেই তালিকার উপরের দিকেই রয়েছে কামারহাটি। ওই পুরসভার বিভিন্ন অংশে করোনার প্রাদুর্ভাব-বৃত্ত ক্রমেই বাড়ছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভায় সংক্রমিতের সংখ্যা জেলার নিরিখে যথেষ্টই। তবে তা কিছু নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার করোনা সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ওই পুরসভার অন্তর্গত একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং কলকাতার লাগোয়া দু’-একটি লোকালয়ের নাম।

কামারহাটি এবং দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার কন্টেনমেন্ট অ্যাফেক্টেড (এ) জ়োনের হিসেব এই তথ্যকে সমর্থন জোগাচ্ছে। বরাহনগর পুর এলাকার করোনা-গ্রাফে হেরফের হচ্ছে ক্রমাগত। ওই এলাকার মধ্যে বিএসএফ বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শিবির রয়েছে। যা কামারহাটির লাগোয়া। সেখানেও সংক্রমণ বেড়েছিল। বিএসএফের সকলে সুস্থ হয়ে হাসপাতালে থেকে ছাড়া পেয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। টিটাগড় পুর এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব স্থল অনেকাংশে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ওই এলাকার করোনা-যোগেও উঠে এসেছে একটি হাসপাতালের প্রসঙ্গ। পানিহাটির করোনা মানচিত্র এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ। বিধাননগর পুর এলাকা হলেও মূল বিধাননগরের চিত্র কিছুটা ভাল বলে প্রশাসনিক কর্তাদের অভিমত। তাঁদের বক্তব্য, বিধাননগর পুরসভার মধ্যে বাগুইআটি থানা এবং আশপাশের এলাকা নিয়ে ‘চাপ’ আছে। সে-ক্ষেত্রেও একটি হাসপাতাল নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন বিশ্লেষকেরা। রাজারহাট একদা সমস্যা বাড়ালেও এখন ভাল অবস্থানে।

Advertisement

তবে প্রশাসনিক কর্তারা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ। এক কর্তা বলেন, ‘‘নজরদারিতে কোনও গাফিলতি করা যাবে না। কোনও এলাকাই নিরাপদ নয়। তাই সতর্ক থাকতেই হবে।’’ কেমন সেই নজরদারি? প্রথমত, পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। নমুনা সংগ্রহে পুলিশও সাহায্য করছে বলে খবর। দ্বিতীয়ত, সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন্স রোগীদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তৃতীয়ত, অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চতুর্থত, মহকুমাশাসক ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের কর্তারা তিন দিন অন্তর বৈঠক করছেন। পঞ্চমত, উত্তর ২৪ পরগনার সংক্রমণে যে-সব হাসপাতালের নাম উঠে এসেছে, সেখানে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা বলে সুরক্ষা বিধি রূপায়ণ-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতির বদল ঘটছে বলে জানাচ্ছেন জেলার আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement