Park Circus

অনড় ব্যবসায়ীরা, পার্ক সার্কাস বাজার সংস্কারে বাড়ছে জটিলতা

পার্ক সার্কাস বাজারের অবস্থা দীর্ঘদিনই শোচনীয়। বিকাশ ভট্টাচার্য মেয়র থাকাকালীন এর সংস্কারের জন্য একটি বড় বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ ০৯:০৮
Share:

পার্ক সার্কাস বাজারের জরাজীর্ণ দশা। —নিজস্ব চিত্র।

পার্ক সার্কাস বাজারকে পুরোপুরি ভেঙে সংস্কার করতে চান কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ব্যবসায়ীদের পার্ক সার্কাস ময়দান সংলগ্ন এলাকায় সরতে বলেছিল পুরসভা। কিন্তু সেই ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীরা রাজি না হওয়ায় ওই বাজার সংস্কার ঘিরে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই বাজারের সামনে বুধবার ব্যবসায়ী সমিতি এক সভায় জানিয়েছে, কোনও ভাবেই সরবে না তারা।

Advertisement

পার্ক সার্কাস বাজারের অবস্থা দীর্ঘদিনই শোচনীয়। বিকাশ ভট্টাচার্য মেয়র থাকাকালীন এর সংস্কারের জন্য একটি বড় বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল পুরসভা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের জেরে সেই চুক্তি বাতিল হয়। বর্তমানে পার্ক সার্কাস বাজারের অবস্থা এতটাই বেহাল যে, গত জুলাইয়ে বাজারের মধ্যে চাঙড় খসে এক ক্রেতা আহত হন। তার পরে পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান, পুরনো ভবনটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলে তৈরি করতে হবে। এর পরেই পুরসভা বাজারটি পুরোপুরি ভেঙে ফের তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ওই বাজারে বর্তমানে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁদের পার্ক সার্কাস ময়দান লাগোয়া এলাকায় অস্থায়ী পুনর্বাসনের কথা জানিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু বাজার সমিতি জানিয়েছে, বাজার ছেড়ে তাঁরা যাবেন না। পার্ক সার্কাস মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আবদুল্লাহ আনসারির অভিযোগ, ‘‘করোনা, লকডাউনের পরে ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় মন্দা চলছে। অনলাইন কেনাকেটার জেরে বাজারের দোকানিরা ধুঁকছেন। এই অবস্থায় বাজারটি ময়দানের মতো শুনশান এলাকায় চলে গেলে ক্রেতারাও যাবেন না। এর বদলে তিন-চার ধাপে বাজার সংস্কার করুক পুরসভা।’’

Advertisement

মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়ীরা একসঙ্গে না সরলে ওই বাজার সংস্কার করা সম্ভব নয়। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে পার্ক সার্কাস বাজারের বাড়িটির দশা ভাল নয়। বাজার সংস্কার নিয়েব্যবসায়ীদের যা মনোভাব, তাতে বিপদ ঘটলে তাঁদেরই দায় নিতে হবে। পুনর্বাসনের জন্য পার্ক সার্কাস ময়দান সংলগ্ন এলাকা ছাড়া আর ফাঁকা জায়গা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement