বিপর্যয়: ভেঙে পড়া মাঝেরহাট উড়ালপুল। ফাইল চিত্র
মাঝেরহাট সেতুর মূল অংশের ছাড়পত্র নিয়ে জট এখনও অব্যাহত। সূত্রের দাবি, এর ফলে চলতি সপ্তাহে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)-র পর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ। জট কাটাতে ফের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে পূর্ত দফতরকে।
মাঝেরহাট সেতুর মূল অংশের কাজ সম্পূর্ণ হবে সিআরএস-এর পর্যবেক্ষণের পরেই। এর আগে সেই প্রস্তাব করে রেল কর্তৃপক্ষ সিআরএস-কে যাবতীয় তথ্য পাঠিয়েছিলেন। তার উপরে সিআরএস আরও কিছু বিষয় স্পষ্ট করতে বলেছিল। রাজ্যের সেই জবাব ফের সিআরএস-কে গত সপ্তাহে পাঠিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। তার পরে আশা তৈরি হয়েছিল, এ বার সিআরএস এলাকা পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে দেবে। কিন্তু প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সিআরএস আরও কিছু বিষয় নতুন করে জানতে চেয়েছে। ফলে ফের তার উত্তর দিতে হবে রাজ্যকে। সোমবার রেল এবং রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা বৈঠক করেন। সরকারি ভাবে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও সেখানে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
এর আগেই রাজ্য জানিয়েছিল, সিআরএস ছাড়পত্র পেয়ে গেলে মাঝেরহাট সেতুর মূল অংশের কাজ শুরু করা যাবে। তা হলেই আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া যাবে সেতু। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে সেই সময়সীমা কতটা মেনে চলা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে।
এরই পাশাপাশি সমস্যা রয়ে গিয়েছে টালা সেতুর নকশা নিয়েও। পূর্ত দফতরের একাংশের ব্যাখ্যা, ওই সেতুর জন্য কোথায় কোথায় স্তম্ভ তৈরি হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কারণ, বড় সেতুর জন্য যতগুলি স্তম্ভ তৈরি করা প্রয়োজন, রেললাইন এবং জল সরবরাহের পাইপলাইন এড়িয়ে তা করতে হবে। ফলে প্রাথমিক ভাবে তৈরি নকশার নিয়ে এই জটিলতা দেখা দিয়েছে।