প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে নতুন নিয়ম, রাত ৮টার পরে কোনও হোটেলেই কোনও ধরনের পার্টি হবে না। কিন্তু, সেই নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে পুলিশ ও আবগারি দফতরের কাছে। সপ্তাহখানেক আগে এমনই অভিযোগ পেয়ে পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে হানা দিয়েছিল পুলিশ। ওই দিনই আবার একই অভিযোগে এ জে সি বসু রোডের একটি হোটেলে হানা দিয়েছিলেন আবগারি অফিসারেরা। সেখানেও দেখা যায়, রাত ৮টার পরে ছাদে পার্টি চলছে। ঘটনার তদন্তে হোটেলের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ আবগারি দফতরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, করোনার জন্য কোনও ক্যামেরাই কাজ করছে না। আবগারি দফতরের খবর, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে, পার্ক স্ট্রিটের ঘটনায় ধৃত নয় অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদলত। এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক ধৃতদের ২৬ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজত দেন। ওই ঘটনায় ধৃত, বর্তমানে জামিনে মুক্তদের তরফে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ফেরত চাওয়া হয়েছিল। আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এ জে সি বসু রোডের ওই হোটেলে মদ সরবরাহ নিয়ে অবশ্য অনিয়ম মেলেনি। পার্ক স্ট্রিটের হোটেলের ক্ষেত্রে সেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার ওই হোটেলের পার্টিতে যে মদ রাখা ছিল, তা কর্তৃপক্ষ কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তার সদুত্তর বা সেই সংক্রান্ত নথি তাঁরা আবগারি দফতরের হাতে দিতে পারেননি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।
আবগারি দফতর সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে শহরের বিভিন্ন হোটেলে রাতে হানা দিচ্ছেন অফিসারেরা। কোথাও কোথাও নিয়ম ভাঙার প্রমাণ মিলছে। গত শনিবার এ জে সি বসু রোডের ওই হোটেলে ছাদে পার্টি চলছে দেখে সেখানে ঢুকতে যান আবগারি অফিসারেরা। কিন্তু অভিযোগ, হোটেলের কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। বাইরে থেকে ছবি তুলে ফিরে আসেন অফিসারেরা। হোটেলের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়। তা-ও কর্তৃপক্ষ দিতে পারেননি।