বরাহনগর পুরসভায় তাণ্ডব সাফাইকর্মীদের

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরাহনগর পুরসভার ঘটনা। পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩৫টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাইয়ে কোনও ঠিকাদার সংস্থার গাড়ি ব্যবহার হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৫
Share:

পরিস্থিতি সামলাতে নেমেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

সাফাইয়ের কাজে ঠিকাদার সংস্থার চুক্তি বাতিল করেছিল পুরসভা। বদলে বিকল্প পদ্ধতিতে নিজস্ব সাফাইকর্মী, রাজ্য সরকারের দেওয়া গাড়ি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কাজ চালানোর পরিকল্পনা করেন পুর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, তাতে রাজি না হয়ে পুরসভায় ভাঙচুর করলেন সাফাইকর্মীরা। রাস্তা অবরোধ করে চলল বাস ভাঙচুর। শেষে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে এক মহিলা-সহ সাত জন সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরাহনগর পুরসভার ঘটনা। পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩৫টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাইয়ে কোনও ঠিকাদার সংস্থার গাড়ি ব্যবহার হবে না। বদলে পুরসভায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৮০০ সাফাইকর্মীকে দু’টি শিফটে কাজ ভাগ করে এলাকা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু সাফাইকর্মীরা দাবি করেন, কাজের সময় পরিবর্তন করা চলবে না। এ দিন বরাহনগরের চেয়ারপার্সন, অন্যান্য কাউন্সিলর ও পুর আধিকারিকেরা আলোচনায় বসেন। পরে সাফাইকর্মীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করে কাজের সময় পর্যালোচনা করার আশ্বাস দেন।

অভিযোগ, বৈঠক থেকে বেরিয়েই গোলমাল শুরু করেন সাফাইকর্মীরা। দৈনিক ২৫০টাকা মজুরিতে কাজ না করার দাবি তোলেন। লাঠি নিয়ে চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারম্যানের ঘরে গিয়ে হামলা চালান তাঁরা। পুরভবনের জানলার কাচ ভাঙা হয়। দেশবন্ধু রোড অবরোধ করে একটি মিনিবাসে ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, ‘‘সাফাইয়ের কাজের জন্য বরাদ্দ সরকারি গাড়ির বদলে ঠিকাদার সংস্থার গাড়ি

Advertisement

চলছিল। বিষয়টি জেনে নাগরিক পরিষেবা বহাল রাখতে সাফাইকর্মীদের দু’টি শিফটে কাজ করতে বলা হয়। তাই নিয়ে এত গোলমাল। বেতন বৃদ্ধিটা কোনও বিষয় নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement