প্রতীকী চিত্র
বাইক সরিয়ে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করেছিল এক পক্ষ। অভিযোগ, কেন মোটরবাইক সরানো হল, তা নিয়ে গোলমাল এবং তা থেকে মাথা ফাটিয়ে দিল অপর পক্ষ। শুক্রবার রাতে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এ ভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনি। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
কী ঘটেছিল? সাহাপুর কলোনির বাসিন্দা নীল মালাকার জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে তাঁরা শিশির মঞ্চের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাহাপুর কলোনিতে বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসেন। তাঁরা দেখেন কার্যালয়ের বাইরে একটি মোটরবাইক পার্ক করানো রয়েছে। নীলের দাবি, তিনি সেটাকে সরিয়ে গাড়ি পার্ক করাতেই একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে বাপান ওরফে তমাল দাস ও কয়েক জন বেরিয়ে আসেন। তাঁরা চিৎকার করে গালিগালাজ দিতে থাকেন কেন মোটরবাইক সরানো হল। নীলের দাবি, তিনি ভাল ভাবে কথা বলতে চাইলেও ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, এর পরেই আরও কয়েক জন সেখানে হাজির হন এবং তাঁকে মারধর করতে থাকেন। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ কয়েক জন মহিলা তাঁর হয়ে কথা বলতে এলে তাঁদের উপরেও ওই যুবকেরা চড়াও হন।
শোভনদেববাবুর ওই সমর্থকের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী স্বরূপ বিশ্বাসের মদতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই যুবকেরা। পাল্টা তমাল দাসের দাবি, পুরো ঘটনাটিই পারিবারিক। অপর পক্ষ রাজনীতির রং চড়াচ্ছে। একই কথা বলেছেন স্বরূপ বিশ্বাস। তিনিও বলেন, ‘‘পারিবারিক, পাড়াগত গোলমালের সঙ্গে জোর করে রাজনীতিকে জড়াচ্ছেন বিধায়কের অনুগামীরা।’’
শোভনদেববাবু বলেন, ‘‘বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও আমি এলাকায় ঢুকতে পারি না। আমার অনুগামীরাও ভাল ভাবে থাকতে পারেন না। এর আগেও নীল ও আমার অন্য সমর্থকদের উপরে ওরা চড়াও হয়েছেন।’’