Jadavpur University

রাম-কর্মসূচিতে ‘বাম-বাধা’, তীব্র উত্তেজনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে, বন্ধ করা হল গেট

অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও কর্মসূচির আয়োজন করা যাবে না। রবিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে করেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৬
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখেই রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে উঠল যাদবপুর ক্যাম্পাস।

Advertisement

সূত্রের খবর, রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সমর্থকেরা। তাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও দেন। পাল্টা অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বামেরা তাঁদের উপর হামলাও চালিয়েছে। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ক্যাম্পাসে।

অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও কর্মসূচির আয়োজন করা যাবে না। রবিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে করেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ জানান, সোমবার বিভিন্ন বিভাগের সেমেস্টার-সহ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই ওই দিন কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ পরিবেশ বজায় রাখতেও অনুরোধ করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের উল্টো দিকে রামপুজোর আয়োজন করা হয়েছে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে। এ নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলির তরফেও পাল্টা কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণের কথা ভাবা হয়েছিল। এ হেন প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞপ্তি জারি করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে সোমবার ক্যাম্পাসে সমস্ত ধরনের অনুষ্ঠান, বিক্ষোভ কর্মসূচি বন্ধ রাখতে বলা হয়। পাশাপাশি বলা হয়, ‘‘সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলেই সহযোগিতা করুন।’’

কিন্তু তার পরেও অশান্তির ঘটনা এড়ানো গেল না। বেলা সওয়া ১২টার খবর, দু’পক্ষের কম-বেশি জমায়েত রয়েছে ক্যাম্পাসে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে প্রস্তুত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement