আরজি কর হাসপাতালের দিকে চলেছে মিছিল। ছবি: সংগৃহীত।
আর জি করের আন্দোলনকারীরা আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে পথে নামল কলকাতার সুশীল সমাজ। সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশে হাঁটলেন কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ। মহানগরের রাজপথে সেই মিছিল গর্জে উঠল আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবিতে।
সোমবার ওই নাগরিক সমাজের ওই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়েরা। ছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমাজকর্মীরা। ছিলেন অন্য বিশিষ্টরাও। তাঁদের হাতে ধরা ধূসর পোস্টারে মূল বক্তব্য একটাই। ‘চিকিৎসক খুনের বিচার চাই’।
অন্য দিকে, সোমবার আরজিকরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিল এসএফআই, ডিওয়াইএফআইও। তারাও সন্ধ্যায় আরজিকরেরর গেটের সামনে পৌঁছে যায়। কিন্তু আরজি করের গেটের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরা।
রবিবারই আরজি করে মহিলা চিকিৎসকরে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশের চিকিৎসক সমাজ এবং রাজ্যের সুশীল সমাজকে পাশে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারী আরজি করের চিকিৎসকেরা। সোমবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা আরও একবার জানায় যে তারা তাঁদের দাবিতে অনড়। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সুবিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন থামাবেন না। এর পরে বিকেল গড়াতেই আন্দোলনকারীদের দাবিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে কলকাতার রাজপথে মিছিল নামে। আন্দোলনকারীদের সুরেই মিছিলে যোগ দেওয়া সমাজকর্মীরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে হবে। যাঁরা এর জন্য দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে।
সোমবার সকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে বলেছিলেন, ‘‘দ্রুত গ্রেফতারির কথা বলেছি আমি। যাঁরা যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা অপরাধীর ফাঁসি চাইব। ফাস্টট্র্যাক কোর্টে দ্রুত এর বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’’