অঘটন: উড়াপুলের উপরে এই জায়গাতেই রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
পথ দু্র্ঘটনা রুখতে সারা বছর ধরে প্রচার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর জন্য সচেতনতার প্রচারে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশের পাশাপাশি সেই কাজে হাত লাগিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরাও। এরই মধ্যে গত শুক্রবার রাতে সল্টলেকে বেপরোয়া ভাবে মোটরবাইক চালানোয় মৃত্যু হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। প্রাণ গিয়েছে বাইকে থাকা তাঁর সঙ্গীরও। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচারে যারা সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করছেন, তাঁদের অসচেতনতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল এই ঘটনা।
শুক্রবার রাত দু’টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চিনার পার্ক থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার উড়ালপুলের উপরে। মৃতদের নাম রাজেশ কানোজিয়া (২৫) এবং কৃষ্ণ হরি (২৫)। পুলিশ জানায়, রাজেশ সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন। ওই দুই যুবকের বাড়িই বিমানবন্দর এলাকার নিউ কোয়ার্টার্স কলোনিতে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে, দুই যুবকের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। তবে এই তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন তীব্র গতিতে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন রাজেশ। সে সময়ে পিছনে বসেছিলেন কৃষ্ণ। ওই উড়ালপুল দিয়ে তীব্র গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সে সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ালপুলের রেলিংয়ে ধাক্কা মারেন রাজেশ। দু’জনেই কয়েক হাত দূরে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। মোটরবাইকের গতি অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং মাথায় হেলমেটে না থাকার কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজেশের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কৃষ্ণকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হয়। সেখানে মারা যান তিনিও।
প্রসঙ্গত, পথ দুর্ঘটনা রুখতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট গোটা বছর ধরেই বিভিন্ন কর্মসূচি করে। রাস্তায় বিভিন্ন মোড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচারও চলে জোর কদমে। কিন্তু খোদ এক সিভিক ভলান্টিয়ার ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙায় চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন।