পোস্তা থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ পর্যন্ত বিবেকানন্দ রোড উড়ালপুলের কাজ বেশ কিছুটা বাকি। তার আগেই সোমবার পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ওই উড়ালপুল চালু হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, পার্ক সার্কাসের কাছে কংগ্রেস এগ্জিবিশন রোডের সঙ্গে এ জে সি বসু রোডের অ্যাপ্রোচ রোড যুক্ত হওয়ার কাজ শেষ হবে মার্চ মাসে।
কী ভাবে এত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে বিবেকানন্দ রোড উড়ালপুলের? কেএমডিএ-র এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘এত দিন আমরা পোস্তার মতো ব্যস্ত এলাকায় রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কাজ করার সময় পেতাম। সোমবার পুরমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সময় চাই। সেই মতো পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বাড়তি সময় পেলে বাকি কাজ দু’তিন মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে।’’
কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের বৈঠক হয়েছে। এই উড়ালপুল চালু হয়ে গেলে পোস্তা এলাকায় তীব্র যানজট লাঘব হবে। স্বস্তি পাবেন মানুষ।
২০০৯ সালের মার্চ মাসে বিবেকানন্দ রোড উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়। দু’টি পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা ছিল। ঠিক হয়েছিল, প্রথম পর্যায়ে হাওড়া ব্রিজের মুখ থেকে পোস্তা হয়ে গিরিশ পার্কে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মোড় পর্যন্ত ২.২৩ কিলোমিটার লম্বা উড়ালপুল হবে। একই সঙ্গে পোস্তা থেকে নিমতলা ঘাট হয়ে আর একটি উড়ালপুল নামবে মেয়ো হাসপাতালের দিকে। কেএমডিএ-র এক কর্তা বলেন, ‘‘দু’টি কাজই শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি হাওড়া থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত উড়ালপুলটির উপরেই।’’ দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের প্রস্তাব ছিল চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত। সেই কাজের বিষয়ে এখন কিছু ভাবা হচ্ছে না। প্রথম পর্যায়ে কাজের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৬৪কোটি টাকা।
এখন সমস্যা কোথায়? কেএমডিএ-র ওই কর্তা বলেন, ‘‘হাওড়া ব্রিজের মুখ থেকে পোস্তার দিকে যেতে কলকাতা বন্দরের একটি অফিস আছে। তার পাশেই রয়েছে টাঁকশালের একটি অফিস। সেটি হেরিটেজ ভবন। ওই ভবনটিকে নষ্ট না করেই কাজ করার অনুমতি অর্থ মন্ত্রকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। তারা সেই অনুমতি দিয়েছে। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষও তাঁদের অফিসের পাশ দিয়ে একটি র্যাম্প করে দেওয়ার কথা বলেছে। সেই কাজের জন্য অনুমতি চেয়ে বন্দরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পেতে অসুবিধা হবে না। ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সমস্যা ছিল। তা-ও মিটে গিয়েছে। এখন শুধু কলকাতা পুলিশ ওই এলাকায় কাজের সময় বাড়িয়ে দিলেই তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’